https://www.emjanews.com/

10031

international

প্রকাশিত

২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ১১:১৩

আপডেট

২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ১১:১৭

আন্তর্জাতিক

থালাপতির সমাবেশে কী ঘটেছিল, কিভাবে প্রা*ণ গেল ৩৯ জনের

প্রকাশ: ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ১১:১৩

ছবি: সংগৃহীত।

ভারতের তামিলনাড়ুর কারুর জেলায় অভিনেতা থেকে রাজনীতিবিদ হওয়া থালাপতি বিজয়ের রাজনৈতিক সমাবেশে পদদলিত হয়ে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৩৯-এ দাঁড়িয়েছে। মৃতদের মধ্যে ১৭ জন নারী ও ৯টি শিশু রয়েছে। আহত হয়েছেন আরও অন্তত ৪৬ জন। শনিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় এ মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে।

কীভাবে ঘটল দুর্ঘটনা

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, সমাবেশস্থলে প্রায় ৩০ হাজার মানুষ জড়ো হয়েছিলেন। বিজয়ের উপস্থিতি ছিল দুপুর সাড়ে ১২টায়, কিন্তু তিনি আসেন সন্ধ্যা ৭টা ৪০ মিনিটে। দীর্ঘ সাত ঘণ্টা অপেক্ষায় থাকা মানুষের কাছে পর্যাপ্ত খাবার ও পানি ছিল না। প্রচণ্ড গরমে অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়েন। এ অবস্থায় বিজয় মঞ্চে ওঠার সঙ্গে সঙ্গে হাজারো মানুষ সামনে ছুটে গেলে হুড়োহুড়ি শুরু হয়। কয়েকজন মাটিতে পড়ে গেলে পদদলিত হয়ে মৃত্যু ও আহতের ঘটনা ঘটে।

অনুমতি ও ভিড়ের হিসাব

তামিলনাড়ু পুলিশের মহাপরিচালক জি ভেঙ্কাটরামান জানান, বিজয়ের দলের পক্ষ থেকে শুরুতে লাইটহাউস চত্বরে সমাবেশের অনুমতি চাওয়া হয়েছিল। তবে জায়গাটি ছোট হওয়ায় সেখানে অনুমতি দেওয়া হয়নি। পরিবর্তে বড় স্থানে অনুমতি দেওয়া হয়, ধারণা করা হয়েছিল ১০ হাজার মানুষ আসবেন। কিন্তু উপস্থিতি ছাড়িয়ে যায় ২৭ হাজারের বেশি। তিনি বলেন, ‘আমরা কাউকে দোষ দিচ্ছি না। তবে দীর্ঘ অপেক্ষা, অতিরিক্ত ভিড় ও ব্যবস্থাপনার ঘাটতির কারণে এ দুর্ঘটনা ঘটেছে।’

সরকারের পদক্ষেপ

হতাহতের ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছেন তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এম কে স্টালিন। তিনি নিহতদের পরিবারকে ১০ লাখ রুপি ও আহতদের প্রত্যেককে ১ লাখ রুপি আর্থিক সহায়তার ঘোষণা দিয়েছেন। পাশাপাশি হাইকোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি অরুণা জগদেশনের নেতৃত্বে একটি তদন্ত কমিশন গঠনের কথাও জানিয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রী ঘটনাস্থলও পরিদর্শন করেন।

বিজয় ও কেন্দ্রীয় সরকারের প্রতিক্রিয়া

ঘটনার সময় বিজয় বক্তৃতা বন্ধ করে অসুস্থদের সহায়তার জন্য ভিড়ের দিকে পানির বোতল ছুড়ে দেন। পরে তিনি সরাসরি ট্রিছি বিমানবন্দর থেকে চেন্নাই ফিরে যান। সেখানে পৌঁছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে লিখেন, ‘আমার হৃদয় ভেঙে গেছে। ভাষায় বর্ণনা করা যায় না এমন শোক ও যন্ত্রণা আমাকে গ্রাস করেছে। প্রাণ হারানো আমার ভাইবোনদের পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাচ্ছি এবং আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করছি।’

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এক শোকবার্তায় এ দুর্ঘটনাকে অত্যন্ত বেদনাদায়ক বলে উল্লেখ করেছেন এবং নিহতদের পরিবারকে গভীর সমবেদনা জানিয়েছেন।