https://www.emjanews.com/

10422

sylhet

প্রকাশিত

১২ অক্টোবর ২০২৫ ১১:৪৭

আপডেট

১২ অক্টোবর ২০২৫ ১৮:২০

সিলেট

সিলেটের বৈষ*ম্য দূর না হলে ক*ঠোর আন্দো*লনের হুঁশি*য়ারি আরিফুল হকের, ১৫ দিনের আলটিমেটাম

প্রকাশ: ১২ অক্টোবর ২০২৫ ১১:৪৭

ছবি: সংগৃহীত।

ঢাকা-সিলেট মহাসড়কসহ সিলেটের সার্বিক যোগাযোগব্যবস্থার দ্রুত সংস্কার ও উন্নয়নের দাবিতে আজ রোববার সকাল ১১টা থেকে ১২টা পর্যন্ত এক ঘণ্টার প্রতীকী ধর্মঘট পালন করেছেন সিলেটবাসী। সাবেক মেয়র ও বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আরিফুল হক চৌধুরীর আহ্বানে এ কর্মসূচি পালিত হয়।

কোর্ট পয়েন্টে আয়োজিত এই সমাবেশে বিভিন্ন সামাজিক, পেশাজীবী ও ব্যবসায়ী সংগঠনের নেতারা অংশ নেন। ধর্মঘট চলাকালে নগরের অধিকাংশ দোকানপাট বন্ধ থাকে এবং যানবাহন চলাচলও বন্ধ রাখা হয়।

সমাবেশে আরিফুল হক চৌধুরী বলেন,‘আমি বারবার বলে আসছি-এখন আর চুপ করে থাকা সময় নয়। ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক, রেল ও আকাশপথের দীর্ঘদিনের দুর্ভোগ ও অবহেলা সিলেটবাসীকে জিম্মি করে রেখেছে। আমরা আগামী ১৫ দিনের মধ্যে আমাদের দাবি বাস্তবায়ন দেখতে চাই: ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের সংস্কার কাজ দ্রুত শেষ করা, সিলেট-ঢাকা ও সিলেট-চট্টগ্রাম রুটে পর্যাপ্ত ট্রেন ও বগি চালু করা, রেল টিকিট কালোবাজারি রোধ করা এবং সিলেট–ঢাকা বিমানের ভাড়া যুক্তিসংগত পর্যায়ে আনাসহ অভ্যন্তরীণ যোগাযোগব্যবস্থা টেকসইভাবে পুনর্গঠন করা। যদি এই সময়ের মধ্যে কার্যকর পদক্ষেপ না নেওয়া হয় এবং সিলেটবাসীর প্রতি বৈষম্য অব্যাহত থাকে, তবে আমি সিলেটের জনগণকে সংগঠিত করে আরও কঠোর কর্মসূচি নিতে বাধ্য হবো-এবং এর দায় বর্তমান সরকারেরই নিতে হবে।’

প্রচারপত্র ও বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, ধর্মঘট থেকে যেসব দাবি জানানো হয়েছে-

ঢাকা–সিলেট মহাসড়কের সংস্কার কাজ দ্রুত সম্পন্ন করা।

সিলেট–ঢাকা ও সিলেট–চট্টগ্রাম রুটে নতুন ট্রেন ও বগি চালু করা।

রেল টিকিট কালোবাজারি বন্ধ করা।

সিলেট–ঢাকা রুটে বিমানের ভাড়া যৌক্তিক পর্যায়ে আনা।

সিলেটের অভ্যন্তরীণ সড়ক যোগাযোগব্যবস্থার দ্রুত উন্নয়ন ও টেকসই পরিকল্পনা বাস্তবায়ন।

গত সপ্তাহজুড়ে নগরজুড়ে মাইকিং ও প্রচারপত্র বিলির মাধ্যমে কর্মসূচির ব্যাপক প্রচারণা চালানো হয়। শনিবার সকালে বিভিন্ন সামাজিক ও ব্যবসায়ী সংগঠনের সঙ্গে বৈঠক করে আরিফুল হক চৌধুরী এই প্রতিবাদে সবাইকে অংশ নেওয়ার আহ্বান জানান। 

 ধর্মঘটের পর সভা ও মিছিল শেষে সাবেক মেয়র ও বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আরিফুল হক চৌধুরী জেলাপ্রশাসকের কার্যালয়ে গিয়ে ডিসির কাছে স্বারকলিপি প্রদান করেন।

এসময় আরিফুল হক উল্লেখ করেন, আগামী ১৫ দিনের মধ্যে সিলেটের যোগাযোগ ব্যবস্থা দ্রুত সংস্কার না হলে এবং বাসীর প্রতি বৈষম্য অব্যাহত থাকলে প্রয়োজন পড়লে প্রবাসীদের রেমিটেন্স বন্ধ করে কঠোর কর্মসূচি নেওয়া হবে।

অন্যদিকে জেলা বিএনপির সভাপতি আবদুল কাইয়ুম চৌধুরী ঘোষণা দিয়েছেন, সোমবার দুপুর ১২টায় দক্ষিণ সুরমার হুমায়ূন রশীদ চত্বরে ‘ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের সূচনাস্থলের দুই পাশে গণ-অবস্থান ও মানববন্ধন’ কর্মসূচি পালন করা হবে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ নৌবন্দর থেকে আখাউড়া স্থলবন্দর পর্যন্ত ৫০.৫৮ কিলোমিটার সড়ক চার লেনে উন্নীত করার প্রকল্প শুরু হয় প্রায় আট বছর আগে। ভারতীয় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এফকনস ইনফ্রাস্ট্রাকচার লিমিটেডের অধীনে বাস্তবায়িত এ প্রকল্প রাজনৈতিক পালাবদল, স্থগিতাদেশ ও সামগ্রী চুরির ঘটনায় দীর্ঘসূত্রতায় ভুগছে। ফলে সাম্প্রতিক সময়ে ঢাকা–সিলেট মহাসড়কে যানজট তীব্র আকার ধারণ করেছে।

সিলেটের নাগরিকদের অভিযোগ, দীর্ঘ অবহেলা ও ধীরগতির কারণে এই অঞ্চল এখন কার্যত ‘যাতায়াতের জিম্মিদশায়’ পড়েছে।