পিআর পদ্ধতি দেশের মানুষ বোঝে না, এটি নির্বাচন বিলম্বিত করার উদ্দেশ্য

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব (পিআর) পদ্ধতি দেশের মানুষ বোঝে না এবং এটি একটি রাজনৈতিক দলের উদ্দেশ্য নির্বাচন বিলম্বিত করা। তিনি বলেন, জনগণের ক্ষমতা জনগণের হাতে ফিরিয়ে দেওয়ার প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত করার জন্য পিআর পদ্ধতি সামনে এনেছে একটি দল। চাপিয়ে দেওয়া কোনো কিছুই এই দেশের মানুষ মেনে নেবে না।

আজ রোববার দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির শফিকুল আলম মিলনায়তনে ন্যাশনাল পিপলস পার্টি (এনপিপি) আয়োজিত স্মরণসভায় তিনি এসব কথা বলেন। সভাটি ডেমোক্রেটিক লীগের প্রয়াত সাধারণ সম্পাদক সাইফুদ্দিন আহমেদ মণির দ্বিতীয় মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজন করা হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন এনপিপির চেয়ারম্যান ও জাতীয়তাবাদী সমমনা জোটের আহ্বায়ক ফরিদুজ্জামান ফরহাদ।

ফখরুল বলেন, ‘গত ১৫ বছর একটি ফ্যাসিস্ট দল দেশের গণতন্ত্র, অর্থনীতি ও আত্মাকে ধ্বংস করেছে। তাদের বিরুদ্ধে লড়াই শেষে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মাধ্যমে আমরা বাংলাদেশকে সত্যিকার অর্থে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠা করার সুযোগ পেয়েছি।’

তিনি অভিযোগ করেন, বিএনপির বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে যে তারা সংস্কারের বিরোধী, যা সম্পূর্ণ ভুল। ফখরুল বলেন, বিএনপির জন্মই সংস্কারের মধ্য দিয়ে হয়েছে এবং শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান একদলীয় শাসন থেকে বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।

বিএনপির মহাসচিব আরও বলেন, পিআর পদ্ধতি নিয়ে জনগণের কোনো ধারণা নেই এবং এটি নির্বাচনের বিলম্ব ঘটানোর একটি অজুহাত। তিনি সরকারের প্রতিশ্রুতির প্রতি জোর দিয়ে বলেন, ‘২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারির মধ্যেই নির্বাচন হবে, আমরা সেটাই চাই। জনগণও দ্রুত নির্বাচন চায় এবং দেশের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় ফিরে যাওয়া প্রত্যাশা করে।’

ফখরুলের মতে, এখন দেশের সকলের দায়িত্ব হলো বাংলাদেশকে সত্যিকারের গণতান্ত্রিক ও সমৃদ্ধ রাষ্ট্রে রূপান্তর করা। তিনি স্মরণ করান, ‘কিছু মানুষ ১৯৭১ সালের ইতিহাস ভুলিয়ে দিতে চায়। স্বাধীনতা অর্জনের কারণেই আমরা নতুন রাষ্ট্র ও নতুন চিন্তা ভাবতে পারি। আমাদের দায়িত্ব হলো এই বাংলাদেশকে গণতান্ত্রিক ও সমৃদ্ধ রাষ্ট্রে রূপান্তর করা।’

স্মরণসভা সঞ্চালনায় ছিলেন এনপিপির মহাসচিব মোস্তাফিজুর রহমান। বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা এতে বক্তব্য দেন।