শিরোনাম
লুটপাটে হুমকির মুখে ধলাই সেতু, রক্ষার দাবিতে মানববন্ধন নির্বাচন ভণ্ডুলে ষড়যন্ত্র করছে পরাজিত শক্তি: প্রধান উপদেষ্টা বাংলাদেশের ধর্মীয় স্বাধীনতা নিয়ে উদ্বেগ যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ সুরমায় আওয়ামী লীগ নেতাদের বাঁচাতে জালিয়াতির অভিযোগ বিএনপির ব্যর্থ অন্তর্বর্তী সরকার তরুণদের মধ্যে হতাশা তৈরি করেছে: মৌলভীবাজারে নাহিদ ইসলাম সুনামগেঞ্জে ফেসবুকে পোস্ট দেওয়ায় যুবক খু*ন র‍্যাবের গুলিতে পা হারানো লিমনের বাবার ওপর হামলা থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার যুদ্ধ: এক দশকের মধ্যে সবচেয়ে রক্তক্ষয়ী সঙ্কট ৩ আগষ্ট ঢাকার সমাবেশ থেকেই জুলাই ঘোষণাপত্র আদায় করে নিবো: নাহিদ ইসলাম সিলেটে এনসিপি’র পদযাত্রা শেষ, সভা চলছে

https://www.emjanews.com/

6669

opinion

প্রকাশিত

২৮ জুন ২০২৫ ২০:১৭

মতামত

সম্মেলন

ভাঙছে দাসত্বের শৃঙ্খল, জেগে উঠছে চা-শ্রমিকরা

প্রকাশ: ২৮ জুন ২০২৫ ২০:১৭

চা-শ্রমিকদের মানবেতর জীবন, বৈষম্য ও অধিকারবঞ্চনার বিরুদ্ধে সংগঠিত হতে যাচ্ছে তাদের দীর্ঘদিনের স্বপ্নের সম্মেলন।

রবিবার (২৯ জুন) শ্রীমঙ্গলের জেলা পরিষদ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হবে চা-শ্রমিকের ১০ দফা বাস্তবায়ন সংগ্রাম কমিটির প্রথম জাতীয় সম্মেলন।

সকাল ১০টায় শুরু হবে দিনব্যাপী চা-শ্রমিক সমাবেশ। এতে সিলেট, মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ ও চট্টগ্রামের শতাধিক চা-বাগান থেকে আগত শ্রমিক, ছাত্র ও যুব প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করবেন।

বর্তমানে চা-শ্রমিকরা দৈনিক মাত্র ১৭৮.৫০ টাকা মজুরি পেয়ে পরিবার-পরিজন নিয়ে কঠিন বাস্তবতায় দিন পার করছেন। চিকিৎসা, শিক্ষা, সুপেয় পানি, টয়লেট ও বাসস্থানের মতো মৌলিক সেবা থেকেও তারা বঞ্চিত।

জরাজীর্ণ ঘর, সীমিত ওষুধ, পানি সংগ্রহের জন্য দীর্ঘ লাইন- এই চিত্র আজও পাল্টায়নি।

শিক্ষা ব্যবস্থার করুণ দশাও বাস্তবতার আরেক দিক- দুই রুমের স্কুল, হাতে গোনা কয়েকজন অস্থায়ী শিক্ষক, পাঠদানের উপযোগী পরিবেশের অভাব।

ভূমির মালিকানা না থাকায় চা-শ্রমিক পরিবারগুলো পেশাগতভাবে প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে আটকে রয়েছে। এ অবস্থাকে আন্দোলনকারীরা আখ্যা দিয়েছেন 'আধুনিক দাসত্ব' হিসেবে।

এই বাস্তবতার প্রেক্ষাপটে ২০২২ সালের ২৭ নভেম্বর গঠিত হয় ১০ দফা বাস্তবায়ন সংগ্রাম কমিটি, যারা নিয়মিত আন্দোলনের মাধ্যমে চা-শ্রমিকদের অধিকার আদায়ের পথ রচনা করে চলেছে।

সম্মেলনে চা-শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন (প্রস্তাবিত) নামে সংগঠনটির নতুন পরিচয় ঘোষণা করা হবে।

গৃহীত হবে ঘোষণাপত্র ও গঠনতন্ত্র, গঠিত হবে একটি নতুন কেন্দ্রীয় কমিটিও।

সম্মেলনে উপস্থাপিত ১০ দফা দাবির মধ্যে রয়েছে- দৈনিক মজুরি ৬০০ টাকা নির্ধারণ; ভূমির মালিকানা প্রদান; স্বাস্থ্য ও শিক্ষার সার্বজনীন অধিকার নিশ্চিত; জাতীয়ভাবে ২০ মে-কে "চা-শ্রমিক দিবস" হিসেবে ঘোষণা

সংগ্রাম কমিটির নেতারা বলছেন- শতবর্ষের বঞ্চনা থেকে মুক্তি পেতে হলে চা-শ্রমিকদের নিজের নেতৃত্বে, সংগঠিত ও ঐক্যবদ্ধভাবে লড়াই করতেই হবে। তারা দেশের মানবিক ও সচেতন জনগণকে এই সংগ্রামে পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন।

১৯২১ সালের ঐতিহাসিক মুল্লুক চলো আন্দোলন আজও চা-শ্রমিকদের লড়াইয়ে অনুপ্রেরণার উৎস হয়ে আছে।

এবারের সম্মেলন হতে যাচ্ছে সেই ঐতিহাসিক চেতনার আধুনিক ধারাবাহিকতা- একটি নতুন দিগন্তের সূচনা।