
ছবি: সংগৃহিত।
পঞ্চম ওভারে বল হাতে আসেন বাংলাদেশের পেসার। প্রথম বলেই উইকেটের সম্ভাবনা তৈরি করেন তিনি। পাকিস্তান অধিনায়ক আগা সালমান ব্যাট চালালেও ঠিকভাবে নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারেননি শটটি। তোলা বলটি সোজা উঠে যায় কাভার অঞ্চলের ওপর দিয়ে, যেখানে ফিল্ডার মাথার ওপর দিয়ে বলটিকে যেতে দেখেন-সরাসরি ধরা না পড়লেও এটি ছিল প্রায় নিশ্চিত ক্যাচের সুযোগ। ওই বলে দুই রান নেন সালমান। তবে পরের চার বলেই স্পষ্ট হয়, বোলারের নিয়ন্ত্রিত লাইন-লেন্থ সামলাতে হিমশিম খাচ্ছেন পাকিস্তান অধিনায়ক। ঠিকমতো ব্যাটে-বলে সংযোগ ঘটাতে পারছিলেন না তিনি।
শেষমেশ চাপে পড়ে ওভারের শেষ বলেই অফ স্টাম্পের বাইরের ডেলিভারিতে ড্রাইভ করতে গিয়ে উইকেটকিপার লিটন দাসের হাতে সহজ ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান সালমান। ৯ বল মোকাবিলা করে মাত্র ৩ রানেই থামতে হয় তাঁকে। এই গুরুত্বপূর্ণ উইকেটটি তুলে নিয়ে বাংলাদেশ ম্যাচে ফিরতে শুরু করে।
টানা ২৬ বল বাউন্ডারিবিহীন থেকে চাপেই ছিল পাকিস্তান। সেই চাপেই শেষমেশ তারা পঞ্চম উইকেট হারায় মাত্র ৪৬ রানে।
আক্রমণে ফিরে আসা মেহেদী হাসান মিরাজ অফ সাইডে বল করলেও ফখর জামান তা ঠেলে দেন অন সাইডে, চেষ্টা করেন এক রান নেওয়ার। দ্রুত বলের পেছনে ছুটে গিয়ে মেহেদী ছুড়ে দেন স্ট্রাইকিং প্রান্তে। উইকেটকিপার লিটন দাস চোখ ধাঁধানো গতিতে বেল তুলে দেন, এরই মাঝে ক্রিজে পৌঁছাতে পারেননি নন-স্ট্রাইকে থাকা মোহাম্মদ নেওয়াজ। রানআউট হয়ে ফেরেন তিনি।
পঞ্চম উইকেটটি হারিয়ে ৪৬ রানেই ধুঁকতে থাকে পাকিস্তান ব্যাটিং লাইনআপ।