শিরোনাম
‘অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ব্যর্থতায় তরুণদের মধ্যে হতাশা তৈরি হয়েছে’-নাহিদ ইসলাম ফেসবুকে ভিডিও পোস্ট নিয়ে সংঘ*র্ষে প্রা*ণ গেল যুবকের, আহ*ত ১ র‍্যাবের গুলিতে পা হারানো লিমনের বাবার ওপর হামলা থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার যুদ্ধ: এক দশকের মধ্যে সবচেয়ে রক্তক্ষয়ী সঙ্কট ৩ আগষ্ট ঢাকার সমাবেশ থেকেই জুলাই ঘোষণাপত্র আদায় করে নিবো: নাহিদ ইসলাম সিলেটে এনসিপি’র পদযাত্রা শেষ, সভা চলছে এনসিপি'র নাহিদ ইসলামসহ কেন্দ্রীয় নেতাদের শাবিপ্রবিতে উষ্ণ অভ্যর্থনা আমরা ফিটনেসবিহীন রাষ্ট্র রেখে যেতে চাই না: নাহিদ ইসলাম দক্ষিন সুরমায় এম এ মালিকের আলোচনা ও দোয়া মাহফিলে ছিলেন না সিলেট বিভাগের কোন পদধারী নেতা জুলাই যুদ্ধ শেষ হয়নি: হবিগঞ্জে নাহিদ ইসলাম

https://www.emjanews.com/

7565

surplus

প্রকাশিত

২২ জুলাই ২০২৫ ২১:৩৮

অন্যান্য

প্রতিবন্ধীদের জন্য বাংলায় সফটওয়্যার আনছে আইসিটি বিভাগ

প্রকাশ: ২২ জুলাই ২০২৫ ২১:৩৮

ছবি: সংগৃহিত।

বাংলাদেশে বসবাসরত বাক, শ্রবণ ও দৃষ্টি প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের প্রযুক্তির মূলধারায় সম্পৃক্ত করতে বাংলা ভাষাভিত্তিক একগুচ্ছ আধুনিক সফটওয়্যার আনছে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) বিভাগ।

এই উদ্যোগের আওতায় বাংলা স্ক্রিন রিডার, ব্রেইল কনভার্টার ও ইশারা ভাষা ডিজিটাইজেশনভিত্তিক সফটওয়্যার খুব শীঘ্রই জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করা হবে।

এছাড়া বাংলা ইশারা ভাষার একটি বৃহৎ ডেটাসেট ইতোমধ্যে উন্মুক্ত করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (২১ জুলাই) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে আয়োজিত ‘প্রতিবন্ধিতা অতিক্রমণে প্রযুক্তি’ শীর্ষক এক কর্মশালায় এসব তথ্য জানানো হয়।

কর্মশালার আয়োজন করে বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল, যা আইসিটি বিভাগের 'গবেষণা ও উন্নয়নের মাধ্যমে তথ্যপ্রযুক্তিতে বাংলা ভাষা সমৃদ্ধকরণ' প্রকল্পের আওতায় বাস্তবায়িত হচ্ছে।

কর্মশালার প্রধান অতিথি ছিলেন আইসিটি বিভাগের সচিব শীষ হায়দার চৌধুরী।

তিনি বলেন, ‘প্রযুক্তিগত সমতা প্রতিষ্ঠায় অ্যাক্সেসিবিলিটি একটি মৌলিক বিষয়। প্রতিবন্ধিতাকে উপেক্ষা করে নয়, বরং প্রযুক্তির মাধ্যমে তা অতিক্রম করাই আমাদের লক্ষ্য হওয়া উচিত।’

তিনি আরও বলেন, ‘এই প্রকল্পকে একটি ইন্ডাস্ট্রিতে রূপ দিতে সরকার ও একাডেমিয়াকে একযোগে কাজ করতে হবে। বাংলা ভাষায় স্ক্রিন রিডার, ব্রেইল কনভার্টার ও সাইন ল্যাঙ্গুয়েজ ডিজিটাইজেশন সফটওয়্যার প্রযুক্তির অন্তর্ভুক্তিতে বিপ্লব ঘটাবে।’

বিশেষ অতিথি ইমপ্যাক্ট ফাউন্ডেশন বাংলাদেশের ফাউন্ডার ট্রাস্টি মনসুর আহমেদ চৌধুরী বলেন, ‘আমি সাত বছর বয়সে দৃষ্টিশক্তি হারাই। অভিজ্ঞতা থেকে জানি, ব্রেইল সংস্করণে তথ্য সরবরাহ দৃষ্টি প্রতিবন্ধীদের জন্য কতটা প্রয়োজন। তাই এই সফটওয়্যারগুলো দ্রুত উন্মুক্ত করা জরুরি।’

কর্মশালায় উপস্থাপিত ধারণাপত্রে বলা হয়, মানব-কম্পিউটার যোগাযোগে ব্যবহারকারী-কেন্দ্রিক ডিজাইন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এতে ‘আলো’ স্ক্রিন রিডার, টেক্সট টু ব্রেইল কনভার্টার, বাংলা সাইন ল্যাঙ্গুয়েজ রিকগনিশন সিস্টেম, টেক্সট টু সাইন পাপেট, এবং টেক্সট টু স্পিচ (TTS) ভিত্তিক অডিও বুক তৈরির বর্তমান অগ্রগতি তুলে ধরা হয়।

প্রকল্প পরিচালক মো. মাহবুব করিম জানান, ‘বাংলাভাষীদের জন্য প্রযুক্তির মাধ্যমে সমঅধিকারের সুযোগ সৃষ্টি করা এই প্রকল্পের মূল লক্ষ্য। ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর ভাষার ডিজিটাইজেশন, ব্রেইল অ্যাপ এবং ইশারা ভাষা সফটওয়্যার প্রতিবন্ধীদের প্রযুক্তি ব্যবহার সহজ করবে।’

কর্মশালায় বাংলা ইশারা ভাষার একটি ডেটাসেট উন্মুক্ত করা হয়, যার নাম Ban-Sign-Sent-9K-V1। এটি সবার জন্য ব্যবহারের উপযোগী করে দেওয়া হয়েছে এবং পাওয়া যাবে এই ঠিকানায়: https://huggingface.co/datasets/banglagov/Ban-Sign-Sent-9K-V1

অনুষ্ঠানে গবেষক, শিক্ষক, বিভিন্ন সংস্থা ও প্রতিষ্ঠান প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করেন এবং নির্মাণাধীন সফটওয়্যারগুলোর বিষয়ে মতামত ও অভিজ্ঞতা বিনিময় করেন।

পুরো অনুষ্ঠানে ইশারা ভাষার দোভাষী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন আরাফাত সুলতানা লতা ও আরিফুল ইসলাম।