https://www.emjanews.com/

8883

national

প্রকাশিত

২৬ আগস্ট ২০২৫ ১৩:০৩

আপডেট

২৬ আগস্ট ২০২৫ ২০:০১

জাতীয়

ফুলবাড়ী ট্র্যাজেডি দিবস: ১৯ বছরেও বাস্তবায়ন হয়নি ৬ দফা চুক্তি

আধিপত্যবাদী ও সাম্রাজ্যবাদী সকল অপশক্তি ও পাথর, বালু লুটেরাদের বিরুদ্ধে নতুন করে সংগ্রামের শপথ নিতে হবে

প্রকাশ: ২৬ আগস্ট ২০২৫ ১৩:০৩

ছবি: সংগৃহীত।

দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে এশিয়া এনার্জির বিরুদ্ধে গণ-আন্দোলনের শহীদদের স্মরণে মঙ্গলবার রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেছে তেল-গ্যাস-খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটি। এ উপলক্ষে বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের নেতা এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) ‘প্রতিরোধ পর্ষদ’ প্যানেলের প্রার্থীরা উপস্থিত ছিলেন। পুষ্পস্তবক অর্পণের পর এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।

সভায় বক্তারা বলেন, আধিপত্যবাদী ও সাম্রাজ্যবাদী সকল অপশক্তি ও পাথর, বালু লুটেরাদের  বিরুদ্ধে নতুন করে সংগ্রামের শপথ নিতে হবে

বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, জাতীয় সম্পদ রক্ষায় ফুলবাড়ীতে যে চুক্তি হয়েছিল, তা কেবল রাজনৈতিক নয়, জনগণের সঙ্গে রাষ্ট্রের একটি অঙ্গীকার। কিন্তু বিএনপি সরকার এবং পরবর্তী আওয়ামী লীগ সরকারও সেই প্রতিশ্রুতি পূর্ণ করেনি। তিনি আরও বলেন, জনগণের স্বার্থকে সরকার অগ্রাধিকার দিচ্ছে না এবং দেশের জ্বালানি সম্পদ নিয়ে সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনা নেই।

বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন বলেন, ফুলবাড়ী আন্দোলনের ১৯ বছর পেরিয়ে গেলেও ছয় দফা চুক্তির বাস্তবায়ন হয়নি। যে কোনো সরকারই ক্ষমতায় থাকুক, চুক্তি বাস্তবায়ন করা তাদের সাংবিধানিক ও নৈতিক দায়িত্ব।

গার্মেন্টস শ্রমিক ঐক্য ফোরামের সভাপতি মোশরেফা মিশু বলেন, বিএনপির সঙ্গে চুক্তি হলেও আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে তা বাস্তবায়ন করবে বলে বারবার ঘোষণা দিয়েছিল, কিন্তু বাস্তবে তা হয়নি। বরং দমননীতি গ্রহণ করেছে এবং বিদেশি স্বার্থে কাজ করে জনগণের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে।

ফুলবাড়ীতে ২০০৬ সালের ২৬ আগস্ট এশিয়া এনার্জির কার্যালয় অভিমুখী আন্দোলনের সময় তৎকালীন বিডিআর গুলি চালায়, এতে তরিকুল, আমিন ও সালেকিন নামে তিনজন নিহত হন এবং দুই শতাধিক আন্দোলনকারী আহত হন। আন্দোলনের তীব্রতায় ৩০ আগস্ট সরকার আন্দোলনকারীদের দাবি মেনে নিয়ে ‘ফুলবাড়ী চুক্তি’ করতে বাধ্য হয়।

সেই দিনের পর থেকে আজকের দিনটিকে ফুলবাড়ী দিবস হিসেবে স্মরণ করা হয় এবং নানা আয়োজনের মাধ্যমে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হয়।