দেশের মাটিতে শেষ ম্যাচে অশ্রুভেজা মেসি, গ্যালারিতে কান্না-হাসির মিশেল
প্রকাশ: ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ১১:০৭

ছবি: সংগৃহীত।
আর্জেন্টিনা দলের গা গরমের সময় দৃশ্যটা যেন ভিন্ন এক গল্প বলছিল। কালো জ্যাকেট পরে স্ট্রেচিং করছিলেন লিওনেল মেসি। বাইরে থেকে সাধারণ মনে হলেও ভেতরে ভেতরে চলছিল আবেগের তোলপাড়। চোখে পানি চেপে রাখতে কষ্ট হচ্ছিল তাঁর। যে স্টেডিয়ামে ২০ বছর আগে দেশের হয়ে প্রথম ম্যাচ খেলেছিলেন, সেই এস্তাদিও মনুমেন্তালেই জাতীয় দলের জার্সিতে দেশের মাটিতে তাঁর শেষ প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচ।
ম্যাচটা ছিল বিশ্বকাপ বাছাইয়ে ভেনেজুয়েলার বিপক্ষে। যদিও আর্জেন্টিনার জন্য খেলা ছিল অনেকটা আনুষ্ঠানিকতা, কারণ আগেই বিশ্বকাপ নিশ্চিত হয়ে গেছে। তবু মেসিকে ঘিরে আবেগে ভাসল গোটা গ্যালারি। জাতীয় সংগীতের সময় মেসির পাশে ছিলেন তাঁর তিন সন্তান। গ্যালারিতে পরিবারও উপস্থিত ছিল। শুরুতে হাসিখুশি হলেও শেষ দিকে স্ত্রী আন্তোনেল্লা রোকুজ্জোর মুখে দেখা গেল কষ্টের ছাপ।
৩৯ মিনিটে লিয়ান্দ্রো পারেদেসের লম্বা পাস থেকে হুলিয়ান আলভারেজ বল বাড়ান বক্সে দাঁড়ানো মেসির কাছে। যে কেউ জোরাল শট নিতে চাইতেন, কিন্তু মেসি নিলেন নিখুঁত চিপ। বল ভেসে জালে জড়াল শিল্পকর্মের মতো। এরপর ৮০ মিনিটে থিয়াগো আলমাদার পাস থেকে বাঁ পায়ে আরেকটি গোল করেন তিনি। এর ফলে বিশ্বকাপ বাছাইয়ে সর্বোচ্চ গোলদাতা লুইস দিয়াজকে ছাড়িয়ে যান মেসি।
ম্যাচে লাওতারো মার্তিনেজও একটি গোল করেন, তবে আলোচনায় ছিলেন কেবল মেসি। শেষ মুহূর্তে হ্যাটট্রিকের সুযোগ এলেও ভিএআর অফসাইড দেখায়।
আবেগঘন বিদায়
আর্জেন্টিনা ম্যাচটি ৩-০ গোলে জিতলেও সমর্থকের চোখ ছিল শুধু মেসির দিকে। বল পায়ে যেতেই গ্যালারি গর্জে উঠেছে বারবার। গাওয়া হয়েছে পরিচিত সেই স্লোগান, ‘ওলে, ওলে, ওলে… মেসি, মেসি, মেসি!’
কিন্তু শুরু থাকলে শেষও আছে। জাতীয় দলের হয়ে দেশের মাটিতে প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচ খেলার অধ্যায় এখানেই শেষ করলেন ৩৮ বছরের মেসি। এএফএ জুনে একটি প্রীতি ম্যাচ আয়োজন করলে তাঁকে হয়তো আবার দেখা যাবে ঘরের মাঠে। না হলে এটাই শেষ।
আর্জেন্টিনার সমর্থকেরা তাই ভাবতেই পারেন- রেফারি যদি যোগ করা সময়টা আরও কিছুটা বাড়াতেন, মেসিকে আরও কিছুক্ষণ মাঠে দেখা যেত!