শিরোনাম
সিলেটের জেলা প্রশাসককে আদালতের শোকজ সাদাপাথর লুটকাণ্ডে সাহাব উদ্দিনের ৫ দিনের রিমান্ড আবেদন সুনামগঞ্জে জেলা প্রশাসনের দুই কর্মীর মৃত্যুতে সহকর্মীদের কান্না, চালকের শাস্তি দাবি প্রাথমিকে ১১ দিন, মাধ্যমিকে ১২ ও কলেজে ১৪ দিনের ছুটি সিলেটসহ ১৪ জেলায় বজ্রসহ বৃষ্টি, দুপুর পর্যন্ত এমন আবহাওয়া অব্যাহত থাকতে পারে চলে গেলেন লোকসংগীতের বরেণ্য শিল্পী ফরিদা পারভীন সিলেট নগরবাসীর ইচ্ছানুযায়ী কাজ করবে পুলিশ: এসএমপি কমিশনার সিলেট নগরী থেকে হকার উচ্ছেদ নয়, নির্ধারিত স্থানে পুনঃস্থাপন করা হবে মহানগর পুলিশের চার অভিযান: চুরির মোবাইল, ভারতীয় ফুচকাসহ যা যা আটক সুনামগঞ্জে কার-মোটরসাইকেলে সংঘর্ষে ডিসি অফিসের ২ জারিকারকের মৃত্যু

https://www.emjanews.com/

9604

surplus

প্রকাশিত

১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ২১:১৪

অন্যান্য

মাত্র ৩ মিনিটে ভাঙা হাড় জোড়া লাগবে

প্রকাশ: ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ২১:১৪

ছবি: সংগৃহীত।

চীনা বিজ্ঞানীরা আবিষ্কার করেছেন এমন এক অভিনব চিকিৎসা-প্রযুক্তি, যার মাধ্যমে মাত্র ১৮০ সেকেন্ড বা তিন মিনিটেই ভাঙা হাড় জোড়া লাগানো যাবে। এই প্রযুক্তির নাম দেওয়া হয়েছে ‘বোন-০২’ (Bone-02), যা সাধারণভাবে পরিচিত হবে ‘বোন গ্লু’ বা হাড়ের আঠা নামে।

চীনের পূর্বাঞ্চলীয় ঝেজিয়াং প্রদেশের গবেষক দল এ উদ্ভাবন আনুষ্ঠানিকভাবে উন্মোচন করে।

গবেষণার নেতৃত্ব দিয়েছেন স্যার রান রান শো হাসপাতালের অর্থোপেডিক বিভাগের সহযোগী প্রধান সার্জন লিন শিয়েনফেং।

তিনি জানান, ঝিনুক যেভাবে পানির নিচে শক্তভাবে সেতুর গায়ে আটকে থাকে, সেখান থেকেই এ প্রযুক্তির ধারণা নেওয়া হয়েছে। গবেষকদের দাবি, রক্তময় পরিবেশেও এ আঠা মাত্র দুই থেকে তিন মিনিটে দৃঢ়ভাবে হাড় জোড়া লাগাতে সক্ষম।

গবেষকরা জানিয়েছেন, প্রচলিত চিকিৎসা পদ্ধতিতে যেখানে ধাতব পাত ও স্ক্রু ব্যবহার করে হাড় জোড়া লাগাতে হয়, সেখানে ‘বোন-০২’ ব্যবহার করে মাত্র তিন মিনিটেই প্রক্রিয়া শেষ করা যায়। এতে দ্বিতীয়বার অস্ত্রোপচারের প্রয়োজন হয় না, কারণ এটি শরীরে প্রাকৃতিকভাবে শোষিত হয়ে যায়।

চীনের সরকারি সম্প্রচারমাধ্যম সিসিটিভি জানিয়েছে, ইতোমধ্যে ১৫০ জনের বেশি রোগীর ওপর এ প্রযুক্তি প্রয়োগ করা হয়েছে।

পরীক্ষা অনুযায়ী, আঠাটি সর্বোচ্চ ৪০০ পাউন্ড পর্যন্ত চাপ সহ্য করতে পারে। পাশ থেকে চাপ পড়লেও এটি ৫ লাখ প্যাসকাল (০.৫ মেগা প্যাসকাল) পর্যন্ত অটুট থাকে, আর ওপর থেকে চাপ দিলে সহ্যক্ষমতা পৌঁছে যায় ১ কোটি প্যাসকাল (১০ মেগা প্যাসকাল) পর্যন্ত। ফলে ধাতব ইমপ্ল্যান্টের বিকল্প হিসেবে একে ব্যবহারযোগ্য মনে করছেন গবেষকরা।

এছাড়া, এটি সংক্রমণ ও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার ঝুঁকি কমাতেও কার্যকর বলে দাবি করা হয়েছে।

বর্তমানে বাজারে যে বোন সিমেন্ট ও বোন ভয়েড ফিলার পাওয়া যায়, সেগুলো আঠালো বৈশিষ্ট্য রাখে না। আর ১৯৪০-এর দশকে তৈরি প্রথম দিককার হাড়ের আঠাগুলো (জেলাটিন, ইপোক্সি রেজিন ও অ্যাক্রিলেটভিত্তিক) বায়ো-কম্প্যাটিবল না হওয়ায় মানুষের শরীরে ব্যবহারের উপযোগী ছিল না।

কিন্তু ‘বোন-০২’ সেই সীমাবদ্ধতা কাটিয়ে নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন করেছে।