https://www.emjanews.com/

9664

surplus

প্রকাশিত

১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ১৪:৩৭

আপডেট

১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ০০:২৬

অন্যান্য

মালয়েশিয়ায় বিদেশিদের ভুয়া বিয়ে: সুযোগ-সুবিধা লুটপাটের নেপথ্য কৌশল

প্রকাশ: ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ১৪:৩৭

ছবি: সংগৃহীত।

মালয়েশিয়ায় স্থায়ী বাসিন্দা (পিআর) মর্যাদা ও ব্যবসায়িক সুবিধা পাওয়ার জন্য বিদেশিদের ভুয়া বা চুক্তিভিত্তিক বিয়ের প্রবণতা বেড়েছে। বিশেষ করে দক্ষিণ এশিয়ার কিছু বিদেশি স্থানীয় নারীদের সঙ্গে বিয়ে করে কেবল ব্যাংক ঋণ, ব্যবসার অনুমতি ও অন্যান্য সুবিধা ভোগ করছে। অভিযোগ আছে, সুবিধা পাওয়ার পর তারা স্ত্রীকে তালাক দিয়ে সম্পর্ক ছিন্ন করছে-যেমন ‘সব মধু শেষ হলে খড় ফেলে দেওয়া’।

সমালোচকরা বলছেন, ভুয়া বিয়ে পারিবারিক বন্ধন নয়, এটি দেশের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা। মালয়েশিয়া যদি এখনই কঠোর ব্যবস্থা না নেয়, তবে এই প্রতারণা রাষ্ট্রের ভিত্তিতে গভীর প্রভাব ফেলবে।

মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) মালয়েশিয়ার ইমিগ্রেশন বিভাগের মহাপরিচালক দাতুক জাকারিয়া শাবান মাই-মেট্রোকে বলেন, ‘পরিবার গঠনের উদ্দেশ্য ছাড়া কেবল ব্যবসা বা অবৈধ বসবাসের জন্য বিয়ের মর্যাদা ব্যবহার করা হলে তা তদন্তের আওতায় আসবে। প্রমাণ মিললে বিদেশিদের গ্রেপ্তার, বিচার ও সাজা শেষে কালো তালিকাভুক্ত করে দেশে ফেরত পাঠানো হবে।’

তিনি আরও জানান, বিদেশি দম্পতিরা দীর্ঘমেয়াদী সামাজিক পাস (পিএলএস) পেলেও বৈধ অনুমতি ছাড়া কাজ করতে পারবে না। সন্দেহজনক ক্ষেত্রে বাড়ি ও কর্মস্থলে হঠাৎ পরিদর্শন, সাক্ষাৎকার ও নথি যাচাই করা হয়।

ইমিগ্রেশন বিভাগ (জেআইএম) ইতোমধ্যে পিডিআরএম, জেপিএন, জাকিম, রাজ্যের ইসলামিক কর্তৃপক্ষ, এলএইচডিএন ও স্থানীয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যৌথ অভিযান চালাচ্ছে। তথ্য ভাগাভাগি ও সমন্বিত তদন্তের মাধ্যমে ভুয়া বিবাহের মাধ্যমে সুবিধা নেওয়া বিদেশিদের শনাক্ত করে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

মালয়েশিয়া সরকার বারবার সতর্ক করেছে-‘বিয়ে কখনোই ব্যবসার টিকিট নয়। ভুয়া বিয়ের মাধ্যমে সুবিধা নেওয়া হলে কঠোর শাস্তি অনিবার্য।’