মালয়েশিয়ায় জাল ভিসা বিক্রির দুই সিন্ডিকেট শনাক্ত
তিন বাংলাদেশিকে গ্রেফতার।
প্রকাশ: ১২ জুলাই ২০২৫ ২০:৩১

ছবি: সংগৃহিত।
শনিবার (১২ জুলাই) রাজধানী কুয়ালালামপুরের জালান পুডুর আশেপাশের একটি অফিসে বিশেষ অভিযানে জাল টেম্পোরারি ওয়ার্ক ভিজিট পাস (পিএলকেএস) বিক্রির দায়ে তিন বাংলাদেশিকে গ্রেফতার করেছে দেশটির ইমিগ্রেশন বিভাগ।
ইমিগ্রেশন মহাপরিচালক দাতুক জাকারিয়া শাবান এক বিবৃতিতে বলেন, গ্রেফতারকৃত তিন বাংলাদেশিরা 'জাকির সিন্ডিকেট' নামে পরিচিত। একজন গ্রুপনেতা এবং অন্য দুজন অবৈধ কার্যকলাপে মধ্যস্থতাকারী হিসেবে কাজ করছিলেন।
এই সিন্ডিকেট মালয়েশিয়ান ইমিগ্রেশন ডিপার্টমেন্ট থেকে পরিষেবা প্রদানের অভিযোগে অভিযুক্ত, যার মধ্যে রয়েছে ভুয়া পিএলকেএস নবায়ন আবেদন। এই সিন্ডিকেট ক্লাং উপত্যকার বিদেশীদের লক্ষ্য করে যারা ২,৫০০ থেকে ৬০০০ হাজার রিঙ্গিত ফি দিয়ে ভিসা নবায়ন করে দিত।
সিন্ডিকেটটি গত কয়েক বছর ধরে সক্রিয়ভাবে এই কার্যকলাপ চালিয়ে আসছে বলে তিনি জানান।
অভিযানের সময় ৪০ থেকে ৫০ বছর বয়সী ৩ বাংলাদেশি নির্মাণ খাতে বৈধ ভাবে কাজ করেন।
অপারেশন টিম ১৩০ টি বাংলাদেশি পাসপোর্ট, তিনটি কপি ইন্দোনেশিয়ান পাসপোর্ট এবং তিনটি মোবাইল ফোন জব্দ করেছে।
গ্রেফতারদের বিরুদ্ধে আরও ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য পুত্রাজায়ায় ইমিগ্রেশনে নিয়ে যাওয়া হয়েছে এবং তদন্তে সহায়তা করার জন্য অন্য একজন বাংলাদেশিকে অফিসে হাজির হওয়ার নোটিশ দেওয়া হয়েছে।
একইদিনে আরেকটি অভিযানে, জেআইএম পুত্রাজায়ার্ইমিগ্রেশন কর্মকর্তা ও কর্মীরা আম্পাং বারুতে একটি প্রাঙ্গণে অভিযান চালান, যা শহীদ সিন্ডিকেটের সদর দপ্তর বলে পরিচিত।
দুই সপ্তাহের জনসাধারণের তথ্য এবং গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে, অভিযান দল দুই পাকিস্তানি এবং একজন মায়ানমারের নাগরিককে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয় যারা মধ্যস্থতাকারী হিসেবে কাজ করতেন।
'তারা 'শহীদ' সিন্ডিকেট নামে পরিচিত যারা (জাল) পিএলকেএস পরিষেবা প্রদান করে এবং তাদের বয়স ৩৩ থেকে ৪৩ বছরের মধ্যে।
জাকারিয়া বলেন, প্রথম অভিযানের মতো, সিন্ডিকেটটি ক্লাং উপত্যকার আশেপাশের বিদেশী গ্রাহকদেরও লক্ষ্যবস্তু করছে যারা পিএলকেএস চায়।
তিনি বলেন, শহীদ সিন্ডিকেট এই পরিষেবার জন্য ৮০ থেকে ৫০০ রিঙ্গিত চার্জ করত, যা গত বছর থেকে এই কর্মকান্ড চালিয়ে আসছে সিন্ডিকেট।
তিনি বলেন, 'প্রাথমিক তদন্তে দেখা গেছে যে একজন পাকিস্তানি নাগরিকের পরিচ্ছন্নতা খাতে পিএলকেএস আছে এবং অন্যজন ওভারটাইম করছে ইউএনএইচসিআর কার্ডধারী মায়ানমারের নাগরিক।
অপারেশন টিম পাকিস্তানি পাসপোর্টের একটি কপি, ভিয়েতনাম (১), মায়ানমার (১), বাংলাদেশ (১), শ্রীলঙ্কা (১) এবং সন্দেহভাজন ২৪টি জাল মালয়েশিয়া পাস (মালপাস) স্টিকার এবং পাঁচটি মোবাইল ফোন জব্দ করেছে।'