ফরিদা পারভীনের শারীরিক অবস্থার উন্নতি
আইসিইউ থেকে কেবিনে স্থানান্তর।
প্রকাশ: ১৪ জুলাই ২০২৫ ১৯:১২

লালনগীতি শিল্পী ফরিদা পারভীন (ছবি: সংগৃহিত)।
দেশের প্রথিতযশা লালনগীতি শিল্পী ফরিদা পারভীনের শারীরিক অবস্থার কিছুটা উন্নতি হয়েছে। তাকে রাজধানীর মহাখালীর ইউনিভার্সেল মেডিকেল কলেজ অ্যান্ড হসপিটালের (আয়শা মেমোরিয়াল হাসপাতাল) আইসিইউ থেকে কেবিনে স্থানান্তর করা হয়েছে।
সোমবার (১৪ জুলাই) দুপুরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন শিল্পীর ছেলে ইমাম জাফর নোমানী।
স্ট্যাটাসে তিনি লেখেন, ‘আম্মাকে (ফরিদা পারভীন) এইমাত্র আইসিইউ থেকে কেবিনে স্থানান্তর করা হয়েছে, আলহামদুলিল্লাহ। তবে ডাক্তার জানিয়েছেন, ভিজিটর নিয়ন্ত্রণ করতে না পারলে অবস্থা আবারো খারাপ হতে পারে। সবাইকে অনুরোধ করছি হাসপাতালে ভিড় না করতে।’
ফরিদা পারভীনের অসুস্থতার খবরে সঙ্গীতপ্রেমী মানুষের মধ্যে উদ্বেগ ছড়িয়ে পড়ে। শিল্পীর সুস্থতা কামনায় দেশজুড়ে চলছে প্রার্থনা।
এদিকে, শিল্পীর অসুস্থতার খবর শুনে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তিনি ফরিদা পারভীনের খোঁজখবর নেওয়ার নির্দেশ দেন দলের যুগ্ম মহাসচিব এমরান সালেহ প্রিন্সকে।
প্রিন্স বৃহস্পতিবার রাতেই হাসপাতালে গিয়ে আইসিইউতে শিল্পীর শারীরিক অবস্থার খোঁজখবর নেন এবং পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন।
এর আগে, ৯ জুলাই বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরও হাসপাতালে গিয়ে শিল্পীর পাশে দাঁড়ান।
৭০ বছর বয়সী ফরিদা পারভীন দীর্ঘদিন ধরে কিডনি, ডায়াবেটিসসহ নানা রোগে ভুগছেন। গত ৫ জুলাই থেকে তিনি হাসপাতালে ভর্তি আছেন। অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে আইসিইউতে নেওয়া হয় এবং চিকিৎসকদের বোর্ড গঠন করে চিকিৎসা দেওয়া হয়।
প্রসঙ্গত, ১৯৬৮ সালে রাজশাহী বেতারে নজরুল সংগীত গাওয়ার মধ্য দিয়ে সংগীতজীবন শুরু করেন ফরিদা পারভীন। ১৯৭৩ সালে দেশাত্মবোধক গান গেয়ে তিনি পরিচিতি পান এবং পরে লালনসংগীতে নিজস্ব এক ঘরানা গড়ে তোলেন।
সাধক মোকসেদ আলী শাহর শিষ্যা হিসেবে তিনি লালন সংগীতে তালিম নেন। ১৯৮৭ সালে তিনি একুশে পদকে ভূষিত হন।
শিশুদের লালনসংগীত শিক্ষা দিতে তিনি প্রতিষ্ঠা করেছেন ‘অচিন পাখি স্কুল’ নামের একটি গানের বিদ্যালয়।