শিরোনাম
‘অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ব্যর্থতায় তরুণদের মধ্যে হতাশা তৈরি হয়েছে’-নাহিদ ইসলাম ফেসবুকে ভিডিও পোস্ট নিয়ে সংঘ*র্ষে প্রা*ণ গেল যুবকের, আহ*ত ১ র‍্যাবের গুলিতে পা হারানো লিমনের বাবার ওপর হামলা থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার যুদ্ধ: এক দশকের মধ্যে সবচেয়ে রক্তক্ষয়ী সঙ্কট ৩ আগষ্ট ঢাকার সমাবেশ থেকেই জুলাই ঘোষণাপত্র আদায় করে নিবো: নাহিদ ইসলাম সিলেটে এনসিপি’র পদযাত্রা শেষ, সভা চলছে এনসিপি'র নাহিদ ইসলামসহ কেন্দ্রীয় নেতাদের শাবিপ্রবিতে উষ্ণ অভ্যর্থনা আমরা ফিটনেসবিহীন রাষ্ট্র রেখে যেতে চাই না: নাহিদ ইসলাম দক্ষিন সুরমায় এম এ মালিকের আলোচনা ও দোয়া মাহফিলে ছিলেন না সিলেট বিভাগের কোন পদধারী নেতা জুলাই যুদ্ধ শেষ হয়নি: হবিগঞ্জে নাহিদ ইসলাম

https://www.emjanews.com/

7620

entertainment

প্রকাশিত

২৪ জুলাই ২০২৫ ১৩:০৩

বিনোদন

উত্তম-সুপ্রিয়া: প্রেম, সংসার ও স্মৃতির গল্প

প্রকাশ: ২৪ জুলাই ২০২৫ ১৩:০৩

ছবি: সংগৃহিত।

বাংলা চলচ্চিত্রের ইতিহাসে উত্তমকুমার ও সুপ্রিয়া দেবীর সম্পর্ক এক আবেগঘন ও আলোচিত অধ্যায়। ২৪ জুলাই, মহানায়ক উত্তমকুমারের প্রয়াণ দিবসে ফিরে দেখা যাক তাঁদের জীবনের একান্ত কিছু মুহূর্ত-প্রেম, কথিত বিয়ে ও বিচিত্র সংসারজীবনের গল্প।

তখন উত্তমকুমারের বয়স মাত্র ১৯ বছর। সুপ্রিয়া দেবী প্রথমবার তাঁকে দেখেন পাড়ার এক তরুণ মঞ্চ অভিনেতা হিসেবে-নিজের ভাইয়ের বন্ধু, অথচ তখনো দুজনের পরিচয় হয়নি। পরবর্তীতে সুপ্রিয়ারা কলকাতায় চলে গেলে উত্তমকুমারের কিছু ফ্লপ ছবির কথা শুনে তিনি কৌতূহলী হয়ে ওঠেন, যদিও দেখা হয়নি তখনো।

প্রথম পরিচয় হয় ‘বসু পরিবার’ ছবির শুটিং সেটে। এরপরই গড়ে ওঠে তাঁদের পেশাদার ও ব্যক্তিগত ঘনিষ্ঠতা। এরই মধ্যে উত্তম বিয়ে করেন গৌরী চট্টোপাধ্যায়কে। সুপ্রিয়া ঘর বাঁধেন বিশ্বজিৎ চ্যাটার্জির সঙ্গে। তবে দুজনেই তাঁদের বৈবাহিক জীবনে সন্তুষ্ট ছিলেন না। সুপ্রিয়ার বিচ্ছেদ হয় ১৯৫৪ সালে, উত্তমের ক্ষেত্রে তা কখনো আনুষ্ঠানিকভাবে ঘটেনি, কিন্তু তিনি মানসিকভাবে ওই সংসার থেকে দূরে সরে গিয়েছিলেন।

‘আম্রপালি’ ছবির মাধ্যমে সুপ্রিয়া দেবী আলোচনায় আসেন। তাঁর অভিনয়ের খ্যাতি পৌঁছে যায় উত্তমের কানেও। এরপর তাঁরা একসঙ্গে কাজ করেন ‘উত্তর মেঘ’, ‘সোনার হরিণ’, ‘শুন বরনারী’সহ একাধিক ছবিতে। কাজের সূত্রে তাঁদের ঘনিষ্ঠতা বাড়ে। উত্তমকুমার তাঁর আত্মজীবনী ‘আমার আমি’ বইয়ে লিখেছেন-কীভাবে সুপ্রিয়ার সঙ্গ ও সেবাযত্ন তাঁকে শান্তি দিয়েছে, জীবনের দুঃসহ মুহূর্তে আশ্রয় হয়ে উঠেছে।

১৯৬২ সালের ২ ডিসেম্বর, ধর্মীয় ও সামাজিক রীতিনীতি অনুসরণ করে তাঁরা বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন-যদিও গৌরীর সঙ্গে আইনি বিচ্ছেদ না থাকায় সেই বিয়ের কোনো আইনগত স্বীকৃতি ছিল না। বিষয়টি সে সময় বিতর্কের জন্ম দেয়। পরিচালক শ্যামল মিত্র যেমন এই সম্পর্ক মেনে নিতে পারেননি এবং উত্তমকে ‘ভবানীপুরে ফিরে না গেলে ছবির শুটিং বন্ধ’ বলে হুঁশিয়ার করেন। উত্তম তখন বলেন, ‘এখনই বেণুকে (সুপ্রিয়াকে) ছেড়ে যেতে পারব না, একটু সময় দে আমায়।’

উত্তম কখনো গৌরীকে ডিভোর্স দেননি, ফলে সুপ্রিয়ার সঙ্গে রেজিস্ট্রি করে বিয়ে করাও সম্ভব হয়নি। সমাজের সমালোচনার ধার কেউই কানে নেননি। ১৭ বছর একসঙ্গে কাটিয়েছিলেন তাঁরা, যতটা সম্ভব নিঃশব্দে, কিন্তু গভীর ভালোবাসায়।

উত্তমের মৃত্যু সুপ্রিয়ার জীবনে গভীর শূন্যতা তৈরি করে। জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত তিনি উত্তমের স্মৃতি আঁকড়ে ছিলেন-ভালোবাসা, বেদনা আর অদ্ভুত এক অসমাপ্ত সম্পর্কের উত্তরাধিকার হয়ে।