শিরোনাম
‘অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ব্যর্থতায় তরুণদের মধ্যে হতাশা তৈরি হয়েছে’-নাহিদ ইসলাম ফেসবুকে ভিডিও পোস্ট নিয়ে সংঘ*র্ষে প্রা*ণ গেল যুবকের, আহ*ত ১ র‍্যাবের গুলিতে পা হারানো লিমনের বাবার ওপর হামলা থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার যুদ্ধ: এক দশকের মধ্যে সবচেয়ে রক্তক্ষয়ী সঙ্কট ৩ আগষ্ট ঢাকার সমাবেশ থেকেই জুলাই ঘোষণাপত্র আদায় করে নিবো: নাহিদ ইসলাম সিলেটে এনসিপি’র পদযাত্রা শেষ, সভা চলছে এনসিপি'র নাহিদ ইসলামসহ কেন্দ্রীয় নেতাদের শাবিপ্রবিতে উষ্ণ অভ্যর্থনা আমরা ফিটনেসবিহীন রাষ্ট্র রেখে যেতে চাই না: নাহিদ ইসলাম দক্ষিন সুরমায় এম এ মালিকের আলোচনা ও দোয়া মাহফিলে ছিলেন না সিলেট বিভাগের কোন পদধারী নেতা জুলাই যুদ্ধ শেষ হয়নি: হবিগঞ্জে নাহিদ ইসলাম

https://www.emjanews.com/

7646

entertainment

প্রকাশিত

২৫ জুলাই ২০২৫ ০১:০৫

বিনোদন

উত্তরায় শুটিং হাউস বন্ধে চিঠি, নাট্যজগতে ক্ষোভ

প্রকাশ: ২৫ জুলাই ২০২৫ ০১:০৫

ছবি: সংগৃহিত।

নির্বিঘ্নে নাটক-সিনেমার শুটিং চলছিল উত্তরার লাবণী ৪, লাবণী ৫ ও আপনঘর-২ নামের শুটিং হাউসগুলোতে। কিন্তু হঠাৎ করেই বদলে গেল দৃশ্যপট। শুটিংয়ের জন্য ঘর ভাড়া না দিতে সম্প্রতি হাউস মালিকদের চিঠি দিয়েছে উত্তরা সেক্টর-৪ কল্যাণ সমিতি। চিঠিতে বলা হয়েছে, শুটিংয়ের কারণে রাস্তায় ভিড়, যানজটে বিঘ্ন এবং বাসিন্দাদের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হচ্ছে। তাই এসব বাড়ি শুটিং হাউস হিসেবে ব্যবহার না করার আহ্বান জানানো হয়েছে।

চিঠিটি স্বাক্ষর করেছেন সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক। তারা এটিও উল্লেখ করেছেন যে, আবাসিক এলাকায় বাণিজ্যিক কার্যক্রম স্থানীয় নীতিমালার পরিপন্থী। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সমিতির প্রশাসনিক কর্মকর্তা গোলাম রাব্বানী।

এ অবস্থায় শুটিং হাউসের মালিকরা বিপাকে পড়েছেন। ২৫ বছর ধরে এই ব্যবসার সঙ্গে জড়িত লাবণী শুটিং হাউসের মালিক আসলাম হোসেন বলেন, ‘এই এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে কাজ করছি। কোনো অভিযোগ পাইনি কখনো। কিন্তু এখন হঠাৎ করে বন্ধ করতে বলা হচ্ছে। আমরা ডিরেক্টর গিল্ডকে জানিয়েছি, আশা করি তারা পাশে দাঁড়াবে।’

ডিরেক্টর গিল্ডের সভাপতি ও অভিনেতা শহীদুজ্জামান সেলিম বলেন, ‘এভাবে হুট করে কোনো নির্দেশনা দেওয়া উচিত না। একটা হাউসে বহু ধারাবাহিক নাটকের কন্টিনিউটি থাকে। সময় না দিয়ে এভাবে বন্ধ বললে চলবে না। আমরা এর প্রতিবাদ জানিয়ে আজই চিঠি দেব। মালিকদের বলেছি, আপনারা একা নন, আমরা আছি।’

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও এই বিষয়ে নিন্দা জানিয়েছেন নাট্যজগতের অনেকেই। নির্মাতা মাহমুদ দিদার লিখেছেন, ‘উত্তরার এই শুটিং কালচার নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এটা দুঃসময়।’
নির্মাতা তপু খান বলেন, ‘শিল্পের বিকাশে এটা একধরনের বাধা। আলোচনা করে সমাধান হওয়া উচিত ছিল।’ অভিনেতা রওনক হাসান বলেন, ‘শুধু শুটিং নয়, আবাসিকে আরও বহু কার্যক্রম চলে। সব না থেমে শুধু শুটিং বন্ধ কেন?’

তাদের দাবি ,যদি কোথাও অসুবিধা হয়, সেটির সমাধান হতে পারে সংলাপ আর সহযোগিতার মাধ্যমে, হঠাৎ নিষেধাজ্ঞা দিয়ে নয়। সংশ্লিষ্ট সংগঠন, সিটি করপোরেশন এবং স্থানীয় প্রশাসনের হস্তক্ষেপেই কেবল এই সংকটের সমাধান সম্ভব বলে মনে করছেন তারা।