বজরঙ্গি ভাইজান
১০ বছর পর ‘মুন্নি’র খোলা চিঠি
সালমান খানের স্নেহ, শুটিংয়ের স্মৃতি আর অমলিন ভালোবাসা
প্রকাশ: ১৭ জুলাই ২০২৫ ১৭:৪১

ছবি: সংগৃহিত।
মাত্র ছয় বছর বয়সে বলিউডে অভিষেক হয় ছোট্ট হারশালি মালহোত্রার। সালমান খানের বিপরীতে ‘বজরঙ্গি ভাইজান’ সিনেমায় অভিনয় করে রাতারাতি জনপ্রিয় হয়ে উঠেছিল সে। সিনেমাটির মুক্তির ১০ বছর পূর্তিতে খুদে মুন্নি স্মৃতিচারণ করেছে এক আবেগঘন খোলা চিঠিতে।
হারশালি লিখেছে, ‘১০ বছর আগের কথা। আমার বয়স তখন মাত্র ছয়। সেসময় মুক্তি পেয়েছিল এক চলচ্চিত্র- যা শুধু গল্প ছিল না, ছিল এক অনুভূতি। ভালোবাসা, মানবিকতা আর বিশ্বাসের এক শক্তিশালী বার্তা ছিল সেখানে। সে ছবির নাম ‘বজরঙ্গি ভাইজান’। আর সেই ছবিই বদলে দিয়েছিল আমার জীবন।’
মুন্নির চরিত্রে তার কোনো সংলাপ ছিল না। তা সত্ত্বেও তার নিঃশব্দ উপস্থিতি দর্শকের মনে দাগ কেটেছিল। সে লিখেছে, ‘আমি কথা বলতে পারতাম না, শুধু অনুভব করতে পারতাম। এত অল্প বয়সে অনেক কিছু না বুঝলেও মুন্নিকে আমি গভীরভাবে বুঝেছিলাম। আমি তাকে অনুভব করেছিলাম এবং প্রাণ দিতে চেয়েছিলাম।’
সিনেমার শুটিংয়ের অভিজ্ঞতা নিয়ে হারশালি জানায়, ‘ক্যামেরার বাইরে আমি ছিলাম দুষ্টু এক শিশু, সারাক্ষণ খেলতাম। কিন্তু ক্যামেরার সামনে সংবেদনশীল হতে হতো। অ্যাকশন দৃশ্যে আমি ভয় পেয়ে কান ঢেকে রাখতাম, লুকিয়ে পড়তাম চেয়ারের পেছনে। কান্নাও করতাম। আমি জানতাম না কী হচ্ছে, কিন্তু সবার ভালোবাসায় নিজেকে নিরাপদ মনে হতো।’
সবচেয়ে বেশি ভালোবাসা পেয়েছে সালমান খানের কাছ থেকে‘তা অকপটে স্বীকার করেছে হারশালি। ‘সালমান স্যার আমাকে সবচেয়ে বেশি আদর করতেন। তাঁর স্নেহ আমাকে সাহস দিয়েছে। পরিচালক কবির খান স্যার প্রতিটি দৃশ্য গল্পের মতো করে বুঝিয়ে দিতেন, অভিনয়টা সহজ হয়ে যেত,’ লিখেছে সে।
শুটিংয়ের স্মৃতিও ভোলেনি হারশালি। ‘কখনো বরফে ঢাকা পাহাড়, কখনো ধুলাময় রাস্তায় শুটিং হতো। মাঝে মাঝে হাসতাম, লাড্ডু ভাগ করে খেতাম। আবার একসঙ্গে কাঁদতামও। সিনেমা মুক্তির পর সবাই আমাকে ‘মুন্নি’ নামেই চিনেছে। আজও সেই নামেই প্রচুর ভালোবাসা পাই। ১০ বছর পেরিয়ে গেলেও সেই ভালোবাসা হারিয়ে যায়নি,’ লিখে ভক্তদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছে সে।
২০১৫ সালের ১৭ জুলাই মুক্তি পাওয়া ‘বজরঙ্গি ভাইজান’ পরিচালনা করেছিলেন কবির খান। সিনেমাটি তৎকালীন সময়ে শুধু ভারতেই নয়, আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও ব্যাপক সাড়া ফেলেছিল। আর মুন্নি চরিত্রে হারশালির নীরব অভিনয় আজও স্মরণীয়।
শেষ লাইনে হারশালি লিখেছে, ‘এই ভালোবাসা আমার জীবনের সবচেয়ে বড় পাওয়া। মুন্নি আজও আমার মধ্যে বেঁচে আছে।’