এক বছর পেরিয়ে গেলেও গণমাধ্যম সংস্কার ও সাংবাদিক সুরক্ষা আইন বাস্তবায়ন হয়নি
প্রকাশ: ০৫ আগস্ট ২০২৫ ২২:৩০

ছবি: সংগৃহিত।
গণঅভ্যুত্থানের এক বছর পেরিয়ে গেলেও গণমাধ্যম সংস্কার ও সাংবাদিকদের সুরক্ষা আইন বাস্তবায়ন না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সাংবাদিক নেতারা।
মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) জাতীয় প্রেসক্লাবে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজে) ও ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে) যৌথ আয়োজনে ‘ফ্যাসিবাদের দুঃশাসনের বর্ষপূর্তি’ উপলক্ষে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তারা এসব মন্তব্য করেন।
সমাবেশে বক্তারা অভিযোগ করেন, অন্তর্বর্তী সরকার নির্বাচন নিয়ে টালবাহানা করছে, যা সাংবাদিক সমাজ মেনে নেবে না।
তারা বলেন, 'গত ১৭ বছর ধরে ফ্যাসিবাদবিরোধী সাংবাদিকরা সাহসিকতার সঙ্গে সাংবাদিকতা করে আসছেন, অথচ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টে তাদের বঞ্চিত করে সরকারঘনিষ্ঠ কথিত সাংবাদিকদের সুবিধা দেওয়া হচ্ছে- এটি সাংবাদিক সমাজ কখনও মেনে নেবে না।
বক্তারা যেসব দাবি ও অভিযোগ তোলেন, তার মধ্যে- সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টে পক্ষপাতমূলক সুবিধা প্রদান, কালো আইন সাইবার সিকিউরিটি আইন এখনও বাতিল না হওয়া, গণমাধ্যমে স্বৈরাচারপন্থীদের চিহ্নিত করে প্রতিরোধের আহ্বান, দ্রুত নির্বাচন দিয়ে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার দাবি, ভারতীয় চ্যানেল সম্প্রচার বন্ধে পদক্ষেপহীনতায় উদ্বেগ।
সমাবেশে বক্তব্য দেন, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি কবি হাসান হাফিজ, বিএফইউজের মহাসচিব কাদের গণি চৌধুরী, ডিইউজের সভাপতি শহিদুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক খুরশিদ আলম, বিএফইউজের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ওবায়দুর রহমান শাহীন, সাংবাদিক নেতা এরফানুল হক নাহিদ, মুরসালীন নোমানী, আবু সালেহ আকন, নিজাম উদ্দিন দরবেশ প্রমুখ।
ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক খুরশিদ আলম বলেন, 'সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টে যেভাবে পক্ষপাত দেখানো হচ্ছে, তা গ্রহণযোগ্য নয়। এর বিরুদ্ধে প্রয়োজন হলে আইনি ব্যবস্থাও নিতে হবে। সাংবাদিকদের রাস্তায় নামতে বাধ্য করা হলে পরিস্থিতি ভয়াবহ হবে।'
জাতীয় প্রেস ক্লাব সভাপতি হাসান হাফিজ বলেন, 'আজ আনন্দ ও বেদনার দিন। ফ্যাসিবাদের পতনে আমরা প্রাথমিক বিজয় পেয়েছি, কিন্তু গণতন্ত্রকে সুরক্ষিত করতে এবং ফ্যাসিস্টদের বিচার করতে হবে। রাজনৈতিক দলগুলোর নিরবতা ও কিছু উপদেষ্টার অযোগ্যতা দেশকে অস্থিতিশীল করছে।'
বিএফইউজের মহাসচিব কাদের গণি চৌধুরী বলেন, 'আজও সাইবার সিকিউরিটি আইন বাতিল হয়নি, এটা দুঃখজনক। আমরা চাই নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি, সংস্কারের নাম করে দীর্ঘসূত্রতা আমরা আর সহ্য করবো না। বাংলার মাটিতে আর কোনো ফ্যাসিস্ট শক্তিকে আসতে দেওয়া হবে না।'
তিনি হুঁশিয়ার করে বলেন, 'খুনি হাসিনার রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে আমরা ১৭ বছর রাজপথে ছিলাম। আমাদের আর রাস্তায় নামাতে বাধ্য করবেন না, তা হলে পরিণতি ভয়াবহ হবে।'