
ছবি: সংগৃহিত।
বকেয়া বেতন-ভাতা পরিশোধ ও দ্রুত প্রশাসক বসানোর দাবিতে পত্রিকা জনকণ্ঠ-এর সাংবাদিক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা টানা তৃতীয় দিনের মতো মানববন্ধন করেছেন। একইসঙ্গে কর্তৃপক্ষকে ৭২ ঘণ্টার আলটিমেটাম দিয়েছেন তারা।
বুধবার (৬ আগস্ট) রাজধানীর ইস্কাটন রোডে জনকণ্ঠ ভবনের সামনে এক ঘণ্টার কর্মবিরতি পালনের মধ্য দিয়ে এ কর্মসূচি পালিত হয়।
শান্তিপূর্ণ মানববন্ধন শেষে তারা সাময়িকভাবে রাস্তা অবরোধ করেন, এতে ২০ মিনিট যান চলাচল বন্ধ থাকে। পরে পুলিশের আশ্বাসে তারা অবরোধ তুলে নেন।
মানববন্ধনে অংশ নেওয়া সাংবাদিকরা অভিযোগ করেন, জনকণ্ঠ পত্রিকাটি জনগণের কণ্ঠ হওয়ার কথা থাকলেও তা হয়নি।
তারা বলেন, 'অতীতে একটি রাজনৈতিক দলের হয়ে দালালি করেছে এবং কর্মীদের ঠকিয়েছে। বছরের পর বছর বেতন না দিয়ে, বরং বেতন চাইলেই চাকরিচ্যুতির হুমকি দিয়েছে। বর্তমানেও সেই স্বৈরাচারী নীতি চালু রয়েছে, যা আজকের বাংলাদেশে মেনে নেওয়া যায় না।
তারা আরও বলেন, 'আমরা মালিকপক্ষের প্রতিপক্ষ নই, আমাদের একটাই দাবি- প্রতিটি কর্মীর ন্যায্য বেতন পরিশোধ করতে হবে। জনকণ্ঠ যেন সত্যিকার অর্থে বাংলাদেশের পত্রিকা হিসেবে কাজ করে।'
তারা আরও জানান, দাবি না মানলে আন্দোলনের তীব্রতা বাড়ানো হবে এবং দাবি আদায় করেই ছাড়বেন।
বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সাংগঠনিক সম্পাদক এহসানুল হক নাহিদ মানববন্ধনে সংহতি জানিয়ে বলেন, 'জনকণ্ঠ মালিকের রাজত্ব গড়া হয়েছে এই শ্রমিকদের শ্রম-ঘামে। এখন তাদের ন্যায্য পাওনা বুঝিয়ে না দিলে এ রাজত্ব টিকবে না। এবার আর পার পাওয়ার সুযোগ নেই।'
প্রসঙ্গত, জনকণ্ঠ কর্তৃপক্ষের কাছে মোট ১৪ কোটি টাকা বকেয়া বেতন-ভাতা রয়েছে বলে দাবি করেছেন আন্দোলনরত কর্মীরা। তারা দ্রুত প্রশাসক বসানোর পাশাপাশি ন্যায্য পাওনা পরিশোধের জোর দাবি জানিয়েছেন।
আন্দোলনকারীরা জানিয়েছেন, আগামী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে দাবি মানা না হলে তারা পরবর্তী কঠোর কর্মসূচি দিতে বাধ্য হবেন।