https://www.emjanews.com/

8529

sylhet

প্রকাশিত

১৬ আগস্ট ২০২৫ ১৭:২১

আপডেট

১৬ আগস্ট ২০২৫ ১৭:৫৯

সিলেট

চেয়ারম্যান আলমগীর আলমকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর অভিযোগ পরিবারের

প্রকাশ: ১৬ আগস্ট ২০২৫ ১৭:২১

ছবি: সংগৃহিত।

সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার ভোলাগঞ্জের সাদাপাথরসহ বিভিন্ন রাষ্ট্রীয় সম্পদ রক্ষায় সোচ্চার ভূমিকা রাখা ২নং পূর্ব ইসলামপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ফলাই ব্রিজ রক্ষা কমিটির আহ্বায়ক মো. আলমগীর আলমকে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হয়েছে বলে পরিবার অভিযোগ করেছে।

শনিবার সিলেট জেলা প্রেসক্লাব মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে তার পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়, জনপ্রিয় এই চেয়ারম্যান দীর্ঘদিন ধরে সাদাপাথর ও ধলাই সেতু রক্ষায় জোরালো ভূমিকা পালন করেছেন। অবৈধ বালু উত্তোলনের কারণে সিলেট বিভাগের দ্বিতীয় দীর্ঘতম এম সাইফুর রহমান সেতু মারাত্মক ঝুঁকির মধ্যে পড়লেও, তা বন্ধে বারবার প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন তিনি। এ সংক্রান্তে তিনি জেলা প্রশাসক ও সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী বরাবর স্মারকলিপিও দেন।

পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়, অন্যায়ের প্রতিবাদ করায় তিনি দীর্ঘদিন ধরে শক্তিশালী লুটেরা চক্রের বিরাগভাজন হয়ে ওঠেন। গত বছর আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর বিভিন্ন খনিজ সম্পদে লুটেরাদের চোখ পড়ে। এ সময় আলমগীর আলম সেনাবাহিনীর সহায়তায় এলাকাবাসীকে নিয়ে লুটপাটকারীদের বিরুদ্ধে অবস্থান নেন। ফলে লুটেরা চক্র তার বিরুদ্ধে অবস্থান নেয় এবং মিথ্যা মামলা দিয়ে তাকে ফাঁসানো হয়।

(পরিবারের পক্ষ থেকে সিলেট প্রেসক্লাবেও সংবাদ সম্মেলন করে একই অভিযোগ করেন রায়হান।)

সংবাদ সম্মেলনে গ্রেফতারকৃত আলমগীর আলমের ছেলে রায়হান আলম জানান, ২০১৪ সালে বিগত সরকারের দায়েরকৃৃত একটি মিথ্যা মামলায় তার বাবাকে গ্রেফতার করা হয়ছে। ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) শিপলু কুমার দে দায়েরকৃত মিথ্যা মামলায় অভিযোগ আনা হয়, পিয়াইন নদীর জুগনির খাল থেকে হাজী হাছন আলী স্কুল পর্যন্ত এলাকা থেকে ২০-২৫টি লিস্টার মেশিন চুরি হয়েছে। অথচ এ ঘটনায় তার বাবার সম্পৃক্ততার কোনো প্রমাণ নেই।

পরিবারের অভিযোগ, কিছু গণমাধ্যমে আলমগীর আলমকে ‘সাদাপাথর লুট মামলায় গ্রেপ্তার’ হিসেবে সংবাদ প্রকাশ করা হয়েছে, যা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও গুজব। তারা বলেন, প্রকৃতপক্ষে আলমগীর আলম কখনো লুটপাটে জড়িত ছিলেন না, বরং রাষ্ট্রীয় সম্পদ রক্ষায় তিনি ছিলেন অগ্রণী কণ্ঠস্বর।

সংবাদ সম্মেলনে পরিবারের পক্ষ থেকে বলা হয়, নির্বাচিত একজন জনপ্রতিনিধিকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে দেওয়ায় ইউনিয়নবাসীর মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে। প্রকৃত ঘটনা যাচাই করতে সাংবাদিকদের প্রতি স্থানীয় জনগণের সঙ্গে কথা বলার আহ্বান জানানো হয়।