শিরোনাম
আসন্ন নির্বাচনে সেনা,নৌ ও বিমান বাহিনীকে কাজে লাগানো হবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে সংঘর্ষের পর থমথমে পরিস্থিতি, জোবরা গ্রাম পুরুষশূন্য চবি ও বাকৃবি শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে শাবিপ্রবিতে শিক্ষার্থীদের মশালমিছিল খুলনায় রূপসা সেতুর বেজমেন্ট থেকে সাংবাদিকের মরদেহ উদ্ধার চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে সংঘর্ষে দেড় হাজার শিক্ষার্থী আহত, গুরুতর আহত ১০ জুলাই গণঅভ্যুত্থান মামলায় শেখ হাসিনার বিচার শেষ পর্যায়ে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠক করেছে বিএনপি, জাতীয় নাগরিক পার্টি ও জামায়াত কোম্পানীগঞ্জের ওসি বদলী, নতুন ওসি রতন শেখ হাঁস মারার জেরে সাইদুর হত্যা, মূল আসামি ইমরান গ্রেফতার কানাইঘাট সীমান্তে গুলিতে নিহত যুবকের লাশ ফেরত দেয়নি বিএসএফ

https://www.emjanews.com/

9033

politics

প্রকাশিত

৩০ আগস্ট ২০২৫ ১৩:১২

আপডেট

৩০ আগস্ট ২০২৫ ২৩:০৯

রাজনীতি

নূরকে আর ব্যবহৃত না হতে বললেন ফাহমিদুল হক

প্রকাশ: ৩০ আগস্ট ২০২৫ ১৩:১২

শিক্ষক নেটওয়ার্কের ফাহমিদুল হক (ছবি: সংগৃহিত)

নূরের উপর হামলা নিয়ে শিক্ষক নেটওয়ার্কের ফাহমিদুল হক সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছেন। তিনি নুরের দ্রুত সুস্থতা কামনা করে লিখেন আক্রান্ত হয়ে আরেকটু গুরুত্ববহ হয়ে ফিরে আসা নূরের লড়াইয়ের ধরন। সুস্থ হয়ে ঠাণ্ডা মাথায় সবকিছু নিয়ে ভাববেন নূর। আর ব্যবহৃত না হওয়ারও আহবান জানিয়েছেন  এই শিক্ষক নেতা।

ফাহমিদুল হকের স্ট্যাটাসে যা লিখেন-‘৫ই আগস্টের পরে এত ঘটনা প্রতিদিন ঘটেছে, নিবিষ্ট পর্য়বেক্ষকেরও তাল সামলানো কঠিন। কিন্তু সব ঘটনাই মোটামুটি বোঝা গেছে, কে ঘটাচ্ছে! নুরের ওপরে হামলার ঘটনাটি অনেক কমপ্লেক্স, চট করে অনেকেই বুঝে ফেলেছেন হয়তো, আমি পারছি না। এই ঘটনার গভীরতা ব্যাপক। 

প্রথমত, এই হামলার তীব্র নিন্দা জানাই। নেতা হিসেবে নুরের বিকাশ আমাদের সামনেই ঘটেছে, ক্যাম্পাসে শিক্ষক হিসেবে আমরা সেসব দেখেছি। নুরের বিকাশ, ভিপি নুর হয়ে ‘বিকাশ নুর’-এ এসে ঠেকলেও, ২০১৮-র কোটা সংস্কার আন্দোলনের নেতা তিনি, এমনকি আখতার-নাহিদ তার কাছেই প্রথম দীক্ষিত। ফলে জুলাই আন্দোলন হয়ে ওঠার পেছনেও তার পরোক্ষ অবদান আছে, আবার প্রত্যক্ষভাবে আন্দোলনের সময় তিনি গ্রেফতার ও নির্য়াতিতও হয়েছেন।  
তাকে আমরা শেখ হাসিনার আমলে বহুবার মার খেতে দেখেছি। আবার জুলাইয়ের পক্ষের কোনো নেতা হিসেবে, ৫ই আগস্টের পরে, তিনিই একমাত্র মারাত্মকভাবে রক্তাক্ত হলেন। বিস্ময়কর হলো, পুলিশের পাশাপাশি সেনাবাহিনীর সদস্যরা তাকে নির্মমভাবে আক্রমণ করেছেন। সাদা পোশাকেও আক্রমণকারীকে দেখা গেছে। নুর আক্রান্ত হবার আগে জাতীয় পার্টির সদস্যদের সাথে গণঅধিকার পরিষদের সদস্যদের হামলা-ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। 

জাতীয় পার্টি হলো পতিত আওয়ামী লীগের পক্ষে থাকা মাঝারি আকারের দল। তাদের আবার দুই ভাগ এখন -- জিএম কাদের আর আনিসুল ইসলাম মাহমুদের অধীনে। আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ হলেও, জাপা সিদ্ধ আছে। অন্যদিকে গণঅধিকার পরিষদ জুলাই আন্দোলনের পক্ষে থাকা মাঝারি আকারের দল। সম্ভবত তাদের সাথে বড় দল বিএনপিরও সম্পর্ক ভালো ছিল। 

কিন্তু পতিত স্বৈরাচারের সহযোগী এক মাঝারি দলের বিরুদ্ধে জুলাইয়ের সহযোগী আরেক মাঝারি দল বিবাদে জড়ালো কেন? জাপাকে নিষিদ্ধ বা কোণঠাসা করার জন্য মাঠের শক্তি প্রদর্শনে কেন গণঅধিকার পরিষদ এগিয়ে গেল? কেন এনসিপি যায় নি? কেন জামাত যায় নি? নুর কি কারো দ্বারা ব্যবহৃত হলেন? তারা কারা?

নাকি নির্বাচন-পক্ষ বিএনপির সাথে নির্বাচন-বিপক্ষ জামাত-এনসিপির টেনশনের বলি হচ্ছেন নুর? কোথাও যেন শুনলাম বিএনপি বলেছে/ভাবছে, জামাত-এনসিপি নির্বাচনে না এলে জাপা বিরোধী দল হবে। 

নুরের দল সম্ভবত গ্ল্যাডিয়েটর বেশে জাপার সাথে লড়াইয়ে অবতীর্ণ হয়েছে। এক গ্যালারিতে বিএনপি, আরেক গ্যালারিতে জামাত-এসসিপি, তা দেখছে, মজা নিচ্ছে। 

রক্তপাতের পর হাসনাত-এনসিপির তৎপরতা দেখে মনে হচ্ছে, নিয়োগটা তাদের দিক থেকে করা হয়েছে। 

নুরের দ্রুত সুস্থতা কামনা করি। আমরা জানি, আক্রান্ত হয়ে আরেকটু গুরুত্ববহ হয়ে ফিরে আসা আপনার লড়াইয়ের ধরন। কিন্তু সুস্থ হয়ে ঠাণ্ডা মাথায় সবকিছু নিয়ে ভাববেন। আর ব্যবহৃত হয়েন না। 
সেনাবাহিনীর সদস্যদের হাতে পুলিশি ডাণ্ডা ভালো দেখালো না!’