অ্যান্টিবায়োটিক খেয়েছেন? অন্ত্র সুস্থ রাখতে খেতে হবে এই ২৫টি খাবার!
প্রকাশ: ০২ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ১২:২৭

ছবি: সংগৃহীত।
অ্যান্টিবায়োটিক সেবনের পর অন্ত্রের স্বাভাবিক ব্যাকটেরিয়া পরিবেশ পুরোপুরি ফিরে আসতে কয়েক সপ্তাহ থেকে কয়েক মাস পর্যন্ত সময় লাগে। চিকিৎসকেরা বলেন, এই সময় খাদ্যাভ্যাসে বিশেষ নজর দেওয়া অত্যন্ত জরুরি। গ্যাস্ট্রোএন্টারোলজিস্ট ডা. জোসেফ সালহাব জানিয়েছেন, অন্ত্র দ্রুত সুস্থ রাখতে অন্তত ২৫ ধরনের খাবার নিয়মিত খাওয়া উচিত।
অ্যান্টিবায়োটিকের প্রভাব
অ্যান্টিবায়োটিক সাধারণত রক্ত সংক্রমণ, ত্বকের আবসেস বা ইমপেটিগো, ব্যাকটেরিয়া সংক্রমিত নিউমোনিয়া, ইউরিনারি ট্র্যাক্ট ইনফেকশন ও কিছু কানের সংক্রমণসহ নানা রোগে ব্যবহার হয়। তবে এগুলো শরীরের ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়ার পাশাপাশি উপকারী ব্যাকটেরিয়াও ধ্বংস করে দেয়। ফলে হজম প্রক্রিয়া ও অন্ত্রের ব্যাকটেরিয়া ভারসাম্য নষ্ট হয়।
একটি গবেষণায় দেখা গেছে, অ্যান্টিবায়োটিক নেওয়ার পর অন্ত্রের মাইক্রোবায়োটার পুনরুদ্ধার নির্ভর করে খাদ্যাভ্যাস, পারিপার্শ্বিক পরিবেশ এবং ব্যক্তির শারীরিক অবস্থার ওপর। সঠিক খাবার অন্তর্ভুক্ত করলে সুস্থ হওয়ার প্রক্রিয়া অনেক দ্রুত হয়।
অন্ত্রের জন্য উপকারী খাবারসমূহ
ডা. সালহাবের মতে, অন্ত্র পুনর্গঠনে নিচের খাবারগুলো বিশেষভাবে উপকারী:
চিয়া সিড, ফ্ল্যাক্স সিড, জেরুজালেম আর্টিচোক
রসুন, পেঁয়াজ, লিক, ড্যান্ডেলিয়ন গ্রিনস
ব্রোকলি, কেল শাক, অ্যাসপারাগাস, কিমচি
ওটস, বার্লি, ব্রান সিরিয়াল, কলা, আখরোট
সাউরডো ব্রেড, কেফির, লাইভ কালচারযুক্ত দই, মিসো পেস্ট, অপরিশোধিত সাওয়ারক্রাউট
গ্রিন চা, ব্লুবেরি, আপেল (খোসাসহ), ক্র্যানবেরি
খাবারগুলো কীভাবে সাহায্য করে
ডা. সালহাব জানান, সাধারণত অ্যান্টিবায়োটিক নেওয়ার পর দুই মাসের মধ্যে অন্ত্রের অধিকাংশ উপকারী ব্যাকটেরিয়া স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসে। তবে কিছু নির্দিষ্ট খাবার এই প্রক্রিয়া দ্রুততর করে। এর প্রধান তিনটি উপায়:
ফারমেন্টেড খাবার সরাসরি উপকারী ব্যাকটেরিয়া অন্ত্রে প্রবেশ করায়।
প্রিবায়োটিক খাবার বিদ্যমান উপকারী ব্যাকটেরিয়ার খাদ্য হিসেবে কাজ করে, তাদের বৃদ্ধি ও বৈচিত্র্য বাড়ায়।
পলিফেনল সমৃদ্ধ খাবার অন্ত্রে এমন পরিবেশ তৈরি করে যা ভালো ব্যাকটেরিয়ার জন্য সহায়ক এবং ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়ার বৃদ্ধি বাধাগ্রস্ত করে।
ফারমেন্টেবল ফাইবারসমৃদ্ধ খাবার অন্ত্রের জন্য বিশেষ উপকারী। এগুলো হজম প্রক্রিয়া উন্নত করার পাশাপাশি অ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্স কমাতেও সাহায্য করে।