আন্তর্জাতিক গবেষণা প্রশিক্ষণে অংশ নিলেন দুই হাজারেরও বেশি শিক্ষার্থী
প্রকাশ: ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ১২:১৩

ছবি: সংগৃহীত।
বাংলাদেশ অ্যাডভান্সড রিসার্চ ট্রেইনিং সেন্টার (BARTC) আয়োজিত উন্নত গবেষণা প্রশিক্ষণ কোর্স ‘Complete Research Training: From Zero to Publication’ সম্প্রতি সম্পন্ন হয়েছে। অনলাইনে অনুষ্ঠিত এই কোর্সে দুই হাজারেরও বেশি শিক্ষার্থী ও গবেষক অংশ নেন।
প্রশিক্ষণের মূল বক্তা ছিলেন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন গবেষক প্রফেসর ড. মঈন উদ্দিন খন্দকার। তিনি বর্তমানে মালয়েশিয়ার সানওয়ে ইউনিভার্সিটির Applied Physics and Radiation Technologies বিভাগে অধ্যাপনা করছেন। ড. খন্দকার বাংলাদেশ একাডেমি অব সায়েন্সেস-এর ফেলো এবং Elsevier–Stanford তালিকাভুক্ত বিশ্বের শীর্ষ ২% গবেষকদের একজন। এখন পর্যন্ত তার ৭৫০টিরও বেশি গবেষণা প্রবন্ধ এসকোপাস ইনডেক্সড জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে, যা উদ্ধৃত হয়েছে ২০,০০০ বারেরও বেশি।
প্রশিক্ষণে তিনি অংশগ্রহণকারীদের গবেষণার সঠিক বিষয় নির্বাচন, মানসম্পন্ন গবেষণা পরিচালনা এবং সমাজে ইতিবাচক প্রভাব সৃষ্টির উপায় সম্পর্কে দিকনির্দেশনা দেন। বিশেষ গুরুত্ব আরোপ করেন লিটারেচার রিভিউর ওপর। তার মতে, এটি শুধু তথ্যের সারসংক্ষেপ নয়; বরং সমালোচনামূলক বিশ্লেষণ, গবেষণার ফাঁক শনাক্তকরণ এবং নতুন দিকনির্দেশনা খোঁজার মাধ্যম।
রোববার এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘একটি শক্তিশালী লিটারেচার রিভিউ গবেষককে আন্তর্জাতিক মানে প্রতিষ্ঠিত করতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।’
ফেসবুক, ইউটিউব ও জুমে সম্প্রচারিত এই প্রশিক্ষণে সরাসরি জুম ক্লাসে যোগ দেন প্রায় ১,৫০০ জন, আর সব মিলিয়ে অংশগ্রহণকারীর সংখ্যা ছাড়ায় দুই হাজার। কোর্সের রেকর্ডিং প্রকাশের পরও এটি ব্যাপক সাড়া তোলে।
প্রশিক্ষণের অন্যতম আকর্ষণ ছিল প্রাণবন্ত প্রশ্নোত্তর পর্ব। অংশগ্রহণকারীরা গবেষণার বিষয় নির্বাচন, লিটারেচার রিভিউতে ফাঁক চিহ্নিতকরণ, প্রবন্ধের কাঠামো এবং আন্তর্জাতিক জার্নালে প্রকাশের কৌশল নিয়ে নানা প্রশ্ন করেন। ড. খন্দকার প্রতিটি প্রশ্নের উত্তর ধৈর্য সহকারে দেন এবং নিজের অভিজ্ঞতা থেকে বাস্তব উদাহরণ তুলে ধরেন।
তিনি আরও বলেন, গবেষণার শেষ ধাপ তথ্য সংগ্রহ নয়; বরং সমালোচনামূলক চিন্তা ও বিশ্লেষণই গবেষণাকে আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করে।
অংশগ্রহণকারীরা জানান, এই প্রশিক্ষণ তাদের গবেষণার যাত্রায় নতুন দৃষ্টিভঙ্গি যোগ করেছে। অনেকেই উপলব্ধি করেছেন, লিটারেচার রিভিউ কেবল পুরনো তথ্য সাজানো নয়; বরং গবেষকের নিজস্ব অবদান রাখার একটি গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্র।