রাত পোহালেই জাকসু নির্বাচন, শিক্ষার্থীদের ভোট ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা প্রস্তুত
প্রকাশ: ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ২২:৪৯

৩৩ বছর পর জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জাকসু) নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শুরু হচ্ছে বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন নির্বাচনের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে।
জাকসু প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক ড. মো. মনিরুজ্জামান জানান, মোট ২১টি হলে ২২৪টি বুথ স্থাপন করা হয়েছে।
ছাত্রদের জন্য ১১টি হলে এবং ছাত্রীদের জন্য ১০টি হলে ভোট কেন্দ্র রয়েছে।
প্রতিটি হলে রিটার্নিং কর্মকর্তা ও পুলিং অফিসারদের পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা ও কর্মচারী দায়িত্ব পালন করবেন।
নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রতিটি ভোট কেন্দ্র সিসি ক্যামেরার আওতায় থাকবে, ১২০০ পুলিশ মোতায়েন থাকবেন এবং বিশেষ পরিস্থিতিতে সেনাবাহিনীও সহায়তা দেবে।
এবারের নির্বাচনে মোট ভোটার সংখ্যা ১১,৮৯৭ জন, প্রার্থীর সংখ্যা প্রায় ৬৫০ জন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির সমর্থিত ‘ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোটের’ জয় জাকসু নির্বাচনের ওপর প্রভাব ফেলতে পারে বলে শিক্ষার্থীরা মনে করছেন। সমন্বিত শিক্ষার্থী জোটের প্রার্থীরাও এ বিষয়ে আশাবাদী।
তারা জানিয়েছেন, সাধারণ শিক্ষার্থীদের ম্যান্ডেটের ভিত্তিতে কাজ করায় তাদের জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি পায়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বলেন, জাবি শতভাগ আবাসিক হওয়ায় ভোটাররা প্রার্থী নির্বাচন আগে থেকেই ঠিক করে রাখেন।
তবে ডাকসুর ফলাফলের প্রভাব থাকলেও জাকসু ভোটে শিবিরের সঙ্গে অন্য প্যানেলের মধ্যে তীব্র প্রতিযোগিতা থাকবে।
নির্বাচনের একদিন আগে ‘সম্প্রীতির ঐক্য’ প্যানেলের প্রার্থী ও সমর্থকরা জাকসু নির্বাচন কমিশন ও উপাচার্যকে রাতভর অবরুদ্ধ করেন। তারা সহ-সভাপতি পদপ্রার্থী অমর্ত্য রায়ের প্রার্থিতা বাতিলের ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
প্রার্থিতা পুনর্বহালের জন্য অমর্ত্য হাইকোর্টে রিট করেন, আদালতের নির্দেশে প্রার্থিতা পুনর্বহাল হলেও বিশ্ববিদ্যালয় চেম্বার আদালতে আপিল করে। শিক্ষার্থীরা নির্বাচন কমিশন ও উপাচার্যকে সিনেট ভবনে ধরে রাখেন এবং রাতে ৫টার দিকে অবরুদ্ধ পরিস্থিতি সমাধান হয়।
উপাচার্য অধ্যাপক কামরুল আহসান বলেন, ‘এটি আদালতের রায়। আমরা চাই সমস্যার সমাধান হোক, তবে চাইলেই রায় পরিবর্তন করা সম্ভব নয়।’