শিরোনাম
সিলেটের জেলা প্রশাসককে আদালতের শোকজ সাদাপাথর লুটকাণ্ডে সাহাব উদ্দিনের ৫ দিনের রিমান্ড আবেদন সুনামগঞ্জে জেলা প্রশাসনের দুই কর্মীর মৃত্যুতে সহকর্মীদের কান্না, চালকের শাস্তি দাবি প্রাথমিকে ১১ দিন, মাধ্যমিকে ১২ ও কলেজে ১৪ দিনের ছুটি সিলেটসহ ১৪ জেলায় বজ্রসহ বৃষ্টি, দুপুর পর্যন্ত এমন আবহাওয়া অব্যাহত থাকতে পারে চলে গেলেন লোকসংগীতের বরেণ্য শিল্পী ফরিদা পারভীন সিলেট নগরবাসীর ইচ্ছানুযায়ী কাজ করবে পুলিশ: এসএমপি কমিশনার সিলেট নগরী থেকে হকার উচ্ছেদ নয়, নির্ধারিত স্থানে পুনঃস্থাপন করা হবে মহানগর পুলিশের চার অভিযান: চুরির মোবাইল, ভারতীয় ফুচকাসহ যা যা আটক সুনামগঞ্জে কার-মোটরসাইকেলে সংঘর্ষে ডিসি অফিসের ২ জারিকারকের মৃত্যু

https://www.emjanews.com/

9488

surplus

প্রকাশিত

১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ১৫:২৮

অন্যান্য

মালয়েশিয়ান সরবরাহকারীর বিরুদ্ধে বাংলাদেশি শ্রমিকদের শোষণের অভিযোগ

প্রকাশ: ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ১৫:২৮

অস্ট্রেলিয়ার দস্তানা প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান আনসেল-এর মালয়েশিয়ান সরবরাহকারী মেডিসেরাম-এ বাংলাদেশি শ্রমিকদের শোষণের গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। ফেডারেল ট্রেজারিতে দায়ের করা এক অভিযোগে বলা হয়েছে, অন্তত ২২০ জন বাংলাদেশি শ্রমিক মজুরি চুরি, জোরপূর্বক শ্রম, ঋণের ফাঁদ ও নির্বাসনের মতো মানবাধিকার লঙ্ঘনের শিকার হয়েছেন।

অভিযোগটি দায়ের করেছেন আন্তর্জাতিক শ্রম অধিকারকর্মী অ্যান্ডি হল। তিনি দাবি করেছেন, শ্রমিকরা বাংলাদেশে নিয়োগ ফি বাবদ গড়ে প্রায় ৫,২০০ মার্কিন ডলার পরিশোধ করতে বাধ্য হয়েছেন। অভিযোগে আরও বলা হয়েছে, অনেক শ্রমিককে কয়েক মাস ধরে বেতন ও ওভারটাইম ভাতা দেয়া হয়নি, কারও ভিসা নবায়ন করা হয়নি, আবার অভিযোগ তোলার কারণে অন্তত ৩৩ জন শ্রমিককে বরখাস্ত করে দেশে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।

একজন বাংলাদেশি শ্রমিক জানান, তাদের আবাসনে প্রতিটি কক্ষে ছয়জন করে থাকতে বাধ্য করা হতো।

অস্ট্রেলিয়ার এবিসি নিউজের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, আনসেল নিজেই স্বীকার করেছে যে মেডিসেরামে বেশ কিছু শ্রম মান-লঙ্ঘন সনাক্ত করেছে। তবে সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান আরুমুগাম সুপ্পিয়াহ অভিযোগগুলোকে ভিত্তিহীন ও ‘শ্রমিক কর্মীর ভয় দেখানোর কৌশল’ বলে দাবি করেন। তার ভাষায়, 'মেডিসেরাম সব ধরনের স্থানীয় নিয়ম মেনে চলে, সমস্ত অভিযোগ নথিপত্র দিয়ে খণ্ডনযোগ্য।'

এ বিষয়ে আইন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আধুনিক দাসত্ব প্রতিরোধে অস্ট্রেলীয় কোম্পানিগুলোর আইনগত দায়িত্ব আরও জোরদার হওয়া উচিত। মানবাধিকার আইন কেন্দ্রের সহযোগী আইন পরিচালক ফ্রেয়া দিনশ মন্তব্য করেন, `অস্ট্রেলিয়ার আইন আরও কঠোর করতে হবে, যাতে সরবরাহ শৃঙ্খলে শ্রমিক শোষণের মতো ঘটনা রোধে কোম্পানিগুলো বাধ্য থাকে।'

এর আগে ২০১৭ সালেও আনসেলের বিরুদ্ধে শ্রীলঙ্কা ও মালয়েশিয়ার কারখানায় শ্রম অধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ উঠেছিল। নতুন করে একই ইস্যুতে প্রতিষ্ঠানটি আবারও তীব্র চাপে পড়েছে।

শ্রমিক অধিকারকর্মীদের মতে, অভিযোগ প্রমাণিত হলে এটি হবে অস্ট্রেলিয়ার অন্যতম বড় করপোরেট আধুনিক দাসত্বের ঘটনা।