সিলেটে মজুমদারীতে বাসা বিক্রি নিয়ে প্রতারণার অভিযোগ, উচ্ছেদের হু’মকি
প্রকাশ: ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ১৯:০৮

ছবি: সংগৃহীত।
সিলেট নগরের মজুমদারী এলাকায় ১৩ দশমিক ৮ ডেসিমেল জমিসহ একটি বাসা বিক্রির বায়নামা সম্পাদনের মাধ্যমে প্রতারণার আশ্রয় নেওয়া হচ্ছে এবং ক্রেতাদের উচ্ছেদের হুমকি দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
শনিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) সিলেটে এক সংবাদ সম্মেলনে এই অভিযোগ করেন দেওয়ান মাহবুব রাজা চৌধুরীর ছেলে দেওয়ান মোস্তাক রাজা চৌধুরী এবং একই বাড়ির মালিক হাজী আশরাফ হোসেনের ছেলে মো. মুহিতুর রহমান ও মুজিবুর রহমান।
সংবাদ সম্মেলনে দেওয়ান মোস্তাক রাজা জানান, আম্বরখানা মৌজার ৯২ জেএল এর ১৫০ খতিয়ানের ৫১৮ দাগের ১৩ দশমিক ৮ ডেসিমেল জায়গার খরিদসূত্রে মালিক ছিলেন সৈয়দ মহিউদ্দিন আহমেদ। তাঁর ভাগ্নে মো. ফজলুর রহমান বাড়িটি দেখাশোনার জন্য পাওয়ার অব অ্যাটর্নি পেয়েছিলেন। ২০২০ ও ২০২২ সালে তারা দুই পক্ষ আগ্রহ প্রকাশ করলে, ফজলুর রহমান ৫ লাখ ৮০ হাজার টাকা নিয়ে তাঁদের বাসাটির দখল বুঝিয়ে দেন। এরপর দুই পক্ষ আলাদাভাবে বাসা ভোগদখল ও রক্ষণাবেক্ষণ করেছেন এবং প্রায় ৪০ লাখ টাকা খরচ করে ভবনের উন্নয়নও করেছেন।
কিন্তু ফজলুর রহমান ও তার সহযোগী রুহুল আমিন পরে বাসা থেকে উচ্ছেদ ও হত্যার হুমকি দিয়েছেন।
গত ১১ আগস্ট বাসায় হামলার ঘটনা ঘটে এবং র্যাব পরিচয় দিয়ে ভয়ভীতি প্রদানের অভিযোগও আছে।
এরপর তাঁরা সিলেটের সিনিয়র সহকারী জজ সদর আদালতে মামলা দায়ের করেন। মামলায় সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর থানার সৈয়দপুর শাহারপাড়া ইউপির সৈয়দপুর গ্রামে মৃত সৈয়দ মহিউদ্দিন আহমেদের ছেলে যুক্তরাজ্যে বসবাসরত দিলোয়ার আহমেদ, তার ছেলে সৈয়দ এমরান আহমেদ, তার মেয়ে সৈয়দ দিলশাদ আহমেদ, সৈয়দ শাহনুর আহমেদ, সৈয়দা তসলিমা বেগম, সৈয়দা নাছিমা বেগম, মোছা: সৈয়দা শাবনমা বেগম শায়লা, সৈয়দা ফাতেমা বেগম, সৈয়দা তাসমিনা বেগম, রীনা আহমেদ, শারজিনা আহমেদ এবং আরজিনা আহমেদকে আসামি করা হয়েছে।
আদালত আসামিদের নির্দেশ দিয়েছেন দলিল রেজিস্ট্রি করার এবং মামলার নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত বাদীদের বাসা থেকে উচ্ছেদ বা ভোগদখলে বাধা না দেওয়ার জন্য অস্থায়ী অন্তবর্তীকালীন নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন।
বর্তমানে মামলা চলমান রয়েছে এবং বাদীরা প্রশাসনের উর্ধ্বতন মহলের সুদৃষ্টি কামনা করছেন।