
ছবি: সংগৃহীত।
সিলেটের বিয়ানীবাজার উপজেলায় এক বেসরকারি ক্লিনিকের চিকিৎসক ও মিডওয়াইফের অবহেলায় নবজাতকের মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে।
শনিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে পৌরশহরের দক্ষিণ বাজারে অবস্থিত মা ও শিশু জেনারেল হাসপাতালে এ ঘটনা ঘটে। এসময় নবজাতকের স্বজনরা কান্নায় ভেঙে পড়েন।
নিহত নবজাতক গোলাপগঞ্জ উপজেলার বাদেপাশা ইউনিয়নের আমকোনা গ্রামের সৌদি প্রবাসী আব্দুল হামিদের তৃতীয় সন্তান।
স্বজনদের অভিযোগ, সকালে প্রসব বেদনা ওঠায় প্রসূতি মাকে হাসপাতালটিতে ভর্তি করা হয়। ভর্তি হওয়ার পর পরীক্ষা-নিরীক্ষায় সব স্বাভাবিক বলা হলেও দুপুরে মৃত নবজাতকের জন্ম হয়।
তাদের দাবি, অভিজ্ঞ চিকিৎসকের উপস্থিতি ছাড়াই অদক্ষ মিডওয়াইফ ও নার্স জোর করে স্বাভাবিক প্রসবের চেষ্টা করেন। একপর্যায়ে রোগীর পেটে চাপ দিয়ে শিশুর মাথা টেনে বের করার চেষ্টা করলে নবজাতকের মৃত্যু হয়।
প্রসূতির চাচাতো ভাই ছামী অভিযোগ করেন, ‘আনুমানিক দুপুর ২টা পর্যন্ত স্বাভাবিক প্রসবের চেষ্টা চলে। আমরা বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক চাইলেও পাওয়া যায়নি। অদক্ষতার কারণেই নবজাতকের মৃত্যু হয়েছে।’
তবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
হাসপাতালের পরিচালক আমিনুল ইসলাম শাকিল বলেন, ‘এটি একটি সম্পূর্ণ অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা। কোনো চিকিৎসক রোগীর ক্ষতি চান না। আমরা একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছি। যদি কারও গাফিলতি প্রমাণিত হয়, তার বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার সিরাজুল ইসলাম সালেকিন বলেন, ‘মিডওয়াইফ প্রথমে প্রসবের চেষ্টা করেন। পরে তার সহযোগিতায় আমি যাই। একসময় প্রসূতির চাপ কমে যাওয়ায় নবজাতক আটকে যায়। বিষয়টি আবাসিক সার্জনকে জানানো হলে তিনি এসে মৃত শিশুর জন্ম সম্পন্ন করেন।’