ছবি- সংগ্রহ
সিলেটের কোম্পানীগঞ্জে আলোচিত ধলাই ব্রিজ রক্ষায় আবারও বড় ধরনের অভিযান পরিচালনা করেছে প্রশাসন। সোমবার (৩ নভেম্বর) সকাল ১০টা থেকে সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জনাব পলাশ তালুকদারের নেতৃত্বে শুরু হয় সম্মিলিত যৌথবাহিনীর এই অভিযান।
অভিযানে ধলাই ব্রিজের নিচ থেকে অবৈধভাবে বালু-পাথর উত্তোলনের কাজে নিয়োজিত ৯১টি নৌকা জব্দ করা হয়। এসব নৌকা বর্তমানে যৌথবাহিনীর হেফাজতে রয়েছে।
এর আগের দিন রবিবার একই এলাকায় মোবাইল কোর্ট অভিযান চালিয়ে আরও ১২টি নৌকা ও ১২ জন বালু লুটেরাকে আটক করা হয়।
জানা যায়, গত জুলাই মাসে সাদা পাথর লুটের ঘটনায় ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়ে স্থানীয় প্রশাসন। এরপর সরকার ধলাই ব্রিজ ও সাদা পাথর এলাকাকে রক্ষায় কঠোর অবস্থান নেয়। এই সময়ই সিলেটের জেলা প্রশাসক হিসেবে মো. সারওয়ার আলমকে পদায়ন করা হয় এবং কোম্পানীগঞ্জের ইউএনও ও ওসিকে বদলি করা হয়।
দুদকের তদন্তে সেই সময় সাদা পাথর লুটের ঘটনায় সিলেট মহানগর বিএনপির সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক, মহানগর জামায়াতের আমীর, জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি সহ ৪২ জন রাজনৈতিক নেতার নাম উঠে আসে। অন্যদিকে, বালু লুটের ঘটনায় জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মকসুদ আহমদ ও কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আব্দুল অদুদ আলফু মিয়ার নেতৃত্বে অর্ধশতাধিক লুটের নামও সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হয়। আর তাদের তত্ত্বাবধানে ২ হাজার শ্রমিক এ বলু লুট চলমান রাখে।
এই ধারাবাহিকতায় কোম্পানীগঞ্জ থানা পুলিশ ইতোমধ্যে ঢালারপাড় বালু লুটের মামলায় রূপা মিয়াসহ বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করেছে। সাম্প্রতিক অভিযানে হাতেনাতে ধরা পড়া ২৬ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দিয়েছে মোবাইল কোর্ট।
নবনিযুক্ত এসিল্যান্ড পলাশ তালুকদার দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকেই ধলাই ব্রিজ ও আশপাশের এলাকায় অবৈধ বালু-পাথর উত্তোলন রোধে একের পর এক অভিযান পরিচালনা করছেন। এতে স্থানীয় প্রশাসনের কার্যক্রমে নতুন গতি এসেছে বলে মনে করছেন সচেতন মহল।
কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রতন শেখ বলেন, “সোমবার সকালে মোবাইল কোর্ট অভিযানে বালু লুটের সময় ৯১টি নৌকা আটক করা হয়েছে। অবৈধভাবে বালু-পাথর উত্তোলনের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত থাকবে।”
                        
                        