শিরোনাম
সিলেটের জেলা প্রশাসককে আদালতের শোকজ সাদাপাথর লুটকাণ্ডে সাহাব উদ্দিনের ৫ দিনের রিমান্ড আবেদন সুনামগঞ্জে জেলা প্রশাসনের দুই কর্মীর মৃত্যুতে সহকর্মীদের কান্না, চালকের শাস্তি দাবি প্রাথমিকে ১১ দিন, মাধ্যমিকে ১২ ও কলেজে ১৪ দিনের ছুটি সিলেটসহ ১৪ জেলায় বজ্রসহ বৃষ্টি, দুপুর পর্যন্ত এমন আবহাওয়া অব্যাহত থাকতে পারে চলে গেলেন লোকসংগীতের বরেণ্য শিল্পী ফরিদা পারভীন সিলেট নগরবাসীর ইচ্ছানুযায়ী কাজ করবে পুলিশ: এসএমপি কমিশনার সিলেট নগরী থেকে হকার উচ্ছেদ নয়, নির্ধারিত স্থানে পুনঃস্থাপন করা হবে মহানগর পুলিশের চার অভিযান: চুরির মোবাইল, ভারতীয় ফুচকাসহ যা যা আটক সুনামগঞ্জে কার-মোটরসাইকেলে সংঘর্ষে ডিসি অফিসের ২ জারিকারকের মৃত্যু

https://www.emjanews.com/

6377

surplus

প্রকাশিত

১৯ জুন ২০২৫ ১৩:০৩

আপডেট

১৯ জুন ২০২৫ ১৬:৫১

অন্যান্য

লবস্টার দিবস

১১০ বছর পর সাগরে ফিরল সেলিব্রিটি লবস্টার!

প্রকাশ: ১৯ জুন ২০২৫ ১৩:০৩

ছবি: সংগ্রহ

যেখানে অন্য লবস্টারদের জীবন শেষ হয় পাতিলের ফুটন্ত জলে, সেখানে ‘লরেঞ্জো’ পেয়েছে জীবনের দ্বিতীয় সুযোগ! বয়স তার ১১০ বছর, ওজন ৯ কেজিরও বেশি। এই দৈত্যকার লবস্টারটি রেস্তোরাঁর হিরো ছিল, কিন্তু শেষ পর্যন্ত সে ফিরেছে নিজের জলে, আটলান্টিক মহাসাগরে।

নিউইয়র্কের লং আইল্যান্ডের হ্যাম্পস্টেডে অবস্থিত ‘পিটার’স ক্ল্যাম বার’ রেস্তোরাঁয় বছর কুড়ি ধরে অ্যাকুয়ারিয়ামে ছিল লরেঞ্জো। খদ্দেররা আসত খাবারের জন্য, আর থেকে যেত লরেঞ্জোর সঙ্গে সেলফি তুলতে! কেউ কেউ তো বলত, ‘খাবার ভালো লাগেনি, কিন্তু লবস্টারটা দারুণ!’

রেস্তোরাঁর মালিক বুচ ইয়ামালি বললেন, ‘সে ছিল আমাদের পোষা প্রাণী। শুধু একটা লবস্টার নয়, সে ছিল আমাদের পরিবারের অংশ!’ আদরের চোটে কেউ তার সামনে চিমটা নিয়ে দাঁড়ায়নি। বরং তাকে বাবা দিবসে ‘ক্ষমা’ করে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। ভাবা যায়!

বাবা দিবস আর ন্যাশনাল লবস্টার দিবস একসঙ্গে পড়ে যাওয়ায় মালিকের মাথায় এল এক দুর্দান্ত আইডিয়া ‘লরেঞ্জোকে সাগরে ছেড়ে দেওয়া হোক ‘ সঙ্গে হাজির হন স্থানীয় প্রশাসনের কর্তারাও। তাঁরা ঘোষণা দেন, ‘লরেঞ্জোকে ক্ষমা করা হলো’! যেন সে কোনো লবস্টার অপরাধ করেছে!

এরপর যেন সিনেমার দৃশ্য, লরেঞ্জোকে লাল গালিচার বদলে নিয়ে যাওয়া হলো আটলান্টিক বিচ রিফে, আর মুক্তির পর সে এমন এক ঢেউ তুলে চলে গেল, যেন বলছে, ‘আসছি রে!’

যদিও রেস্তোরাঁটি বলছে তারা তাকে মিস করবে, তবে বুচ ইয়ামালি সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, ‘বিক্রি করতাম না কখনোই। আর খেয়ে ফেলতাম, ভাবতেই পারি না!’

তাই, যেখানে অনেক লবস্টারের গল্প শেষ হয় থালায়, লরেঞ্জোর গল্প শুরু হলো আবার সাগরে। এখন প্রশ্ন একটাই-সে কী আবার প্রেমে পড়বে? নাকি খুলবে নিজের রেস্টুরেন্ট ‘লরেঞ্জোর লবস্টার লাভ’!