পৃথিবীর কাছে এসে পাড়ি দিল বিমান আকারের গ্রহাণু
হুমকির আশঙ্কা নেই, জানাল নাসা
প্রকাশ: ০২ জুলাই ২০২৫ ২১:২৭

ছবি: সংগ্রহ
বিমান আকারের একটি গ্রহাণু পৃথিবীর একেবারে কাছ ঘেঁষে অতিক্রম করেছে।
‘২০২৫ এমএম’ নামের এই গ্রহাণুটি যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার নজরে আসে গত মাসেই।
সোমবার (১ জুলাই) এটি পৃথিবীর সবচেয়ে কাছ দিয়ে পাড়ি দেয় বলে নিশ্চিত করেছে সংস্থাটি।
প্রায় ১২০ ফুট (৩৬ মিটার) ব্যাসের এই গ্রহাণুটি ঘণ্টায় প্রায় ২৩,৮৭৪ মাইল বেগে ছুটে চলেছে। সে সময় এটি পৃথিবী থেকে মাত্র ১.২৯ মিলিয়ন কিলোমিটার দূর দিয়ে চলে যায়, যা চাঁদ থেকে পৃথিবীর দূরত্বের মাত্র তিন গুণ।
নাসার হিসাবে, ‘২০২৫ এমএম’ সূর্যের চারপাশে পৃথিবীর কক্ষপথ বরাবর ঘুরে বেড়ানো অ্যাটেন গ্রহাণু পরিবারর একটি সদস্য। এ ধরনের গ্রহাণু পৃথিবীর কক্ষপথের ভেতর দিয়ে ঘোরে, ফলে মাঝে মধ্যেই পৃথিবীর কাছাকাছি চলে আসে।
তবে আশঙ্কার কিছু নেই, বলছে নাসা। আপাতত এটি ‘সম্ভাব্য বিপজ্জনক বস্তু’ নয়, কারণ এর কক্ষপথ পৃথিবীর সঙ্গে সংঘর্ষের পথে নয়।
তবে কক্ষপথে যেকোনো পরিবর্তন ভবিষ্যতে হুমকি তৈরি করতে পারে বলে বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন।
নাসার বিজ্ঞানী ডঃ পল চোডাস বলেন, ‘এটি আকারে ছোট হলেও পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে প্রবেশ করলে স্থানীয় ক্ষতি করতে পারত। যদিও এবার এমন কোনো সম্ভাবনা ছিল না।’
তিনি আরও জানান, এ ধরনের গ্রহাণু শনাক্ত ও ট্র্যাকিং করার জন্য নাসা সর্বোচ্চ নজরদারি করছে, যেন অপ্রত্যাশিত বিপদ এড়ানো যায়।
গ্রহাণু ‘২০২৫ এমএম’ সম্পর্কে যা জানা গেছে, এর ব্যাস: প্রায় ১২০ ফুট (বোয়িং ৭৩৭ বিমানের ডানার সমান), গতি ঘণ্টায় প্রায় ২৩,৮৭৪ মাইল, পৃথিবী থেকে দূরত্ব (১ জুলাই) ১.২৯ মিলিয়ন কিমি (পৃথিবী-চাঁদের দূরত্বের ~৩ গুণ)।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মহাকাশে এমন ঘটনার পর্যবেক্ষণ ভবিষ্যতের সম্ভাব্য ঝুঁকি মোকাবিলায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। নাসার পাশাপাশি বিশ্বের বিভিন্ন মহাকাশ গবেষণা সংস্থাও এ বিষয়ে সমানভাবে নজর রাখছে।