শিরোনাম
সিলেটে পরিবহন মালিক শ্রমিকদের কর্মবিরতি নিয়ে মুখোমুখি দুই পক্ষ নবীগঞ্জে কয়েক দিনের স.হিংসতায় নি.হত ২, লুটপাট ও ভাঙচুর, শহরে ১৪৪ ধারা জারি মঙ্গলবার সকাল থেকে সিলেটে পরিবহন মালিক শ্রমিকদের অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি নির্বাচন যত দেরি হবে, বাংলাদেশ ততই পেছাবে: সিলেটে মির্জা ফখরুল আলবদর রাজাকারবাহিনী একেক সময় একেক কথা বলছে: হাসান মাহমুদ টুকু বেগম জিয়া‌কে স্লো পয়জ‌নিং ক‌রে হ.ত্যা কর‌তেই গ্রেপ্তার ক‌রে‌ছিল আওয়ামী লীগ: মির্জা আব্বাস জেলা ও মহানগর বিএনপির মিলাদ ও দোয়া মাহফিল ফেব্রুয়ারিতেই নির্বাচন; আশাবাদ মির্জা ফখরু‌লের বিএনপির মহাসচিবসহ কেন্দ্রীয় নেতারা সিলেটে পৌঁছেছেন পরিবহন ধর্মঘটে ভাঙ্গন: মঙ্গলবার জামায়াতপন্থী মালিকদের গা‌ড়ি চল‌বে

https://www.emjanews.com/

6850

sylhet

প্রকাশিত

০৩ জুলাই ২০২৫ ১৮:০২

আপডেট

০৫ জুলাই ২০২৫ ২১:০৫

সিলেট

কুলাউড়ার এসিল্যান্ড জহুরুল হোসেন এখন ময়মনসিংহের ইউএনও

প্রকাশ: ০৩ জুলাই ২০২৫ ১৮:০২

ছবি: সংগ্রহ

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের মাঠ প্রশাসন-২ শাখার এক প্রজ্ঞাপনে কুলাউড়ার সহকারী কমিশনার (ভূমি) শাহ জহুরুল হোসেনকে পদোন্নতি দিয়ে ময়মনসিংহ বিভাগে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) হিসেবে পদায়ন করা হয়েছে। রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে উপসচিব আমিনুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এই প্রজ্ঞাপনে তাঁর পদোন্নতির বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়।

৩৬তম বিসিএসের এ কর্মকর্তা অল্প সময় কুলাউড়ায় দায়িত্ব পালন করলেও তাঁর দক্ষতা, সততা, মানবিকতা ও জনসেবামূলক ভূমিকা কুলাউড়ার সাধারণ মানুষের হৃদয়ে দাগ কেটেছে। এসিল্যান্ড হিসেবে ভূমি অফিসকে দালালমুক্ত করা, ডিজিটাল ভূমি সেবা চালু, ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি, মাদক ও ভেজালবিরোধী অভিযান পরিচালনা, সরকারি সম্পত্তি বিশেষ করে পুকুর-দিঘি উদ্ধার -সবকিছুতেই ছিল তার দৃশ্যমান ভূমিকা।

সম্প্রতি মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ বিক্রির অভিযোগে তিনি অভিযান পরিচালনা করেন, যা অসাধু ব্যবসাূয়ীদের সতর্ক ও জনসচেতনতা তৈরিতে সহায়ক হয়েছে।

জহুরুল হোসেনের গ্রামের বাড়ি ময়মনসিংহ জেলার হালুয়াঘাট উপজেলায়। তিনি ফুলপুর কলেজ থেকে এইচএসসি এবং শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক সম্পন্ন করেন। চাকরির শুরুতে পিরোজপুরে সহকারী কমিশনার ছিলেন। এরপর দিনাজপুরের বিরল, সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জ ও জৈন্তাপুর উপজেলায় এসিল্যান্ড হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

সিলেট বিভাগীয় অনলাইন প্রেসক্লাব এর সহ-সাধারণ সম্পাদক সম্পাদক এমদাদুর রহমান চৌধুরী জিয়া বলেন, ‘এক সময় কুলাউড়া ভূমি অফিস ছিল দুর্নীতিগ্রস্ত, কিন্তু এসিল্যান্ড জহুরুল হোসেনের হাত ধরে সাধারণ মানুষ এখন সেবা পাচ্ছে ঘুষ ছাড়াই।’

সাপ্তাহিক বেনীআসহকলা পত্রিকার সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম হিরো জানান, ‘মেয়াদোত্তীর্ণ মিষ্টি খেয়ে অসুস্থ হওয়ার পর দ্রুত অভিযানে গিয়ে ব্যবস্থা নেওয়ায় আমরা ন্যায়বিচার পেয়েছি।’

এছাড়া রাস্তার মাঝে ঘর তুলে চলাচলে বাধা সৃষ্টি করায় জনস্বার্থে তাঁর কঠোর অবস্থানও প্রশংসিত হয়। সেনাবাহিনীর সহায়তায় সেই অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে রাস্তা উন্মুক্ত করেন তিনি।

তাঁর পদোন্নতিতে আনন্দিত কুলাউড়াবাসীর প্রত্যাশা, ভবিষ্যতে শাহ জহুরুল হোসেন কুলাউড়ার ইউএনও, মৌলভীবাজারের ডিসি কিংবা সিলেট বিভাগের বিভাগীয় কমিশনার হিসেবে ফিরে আসবেন।