https://www.emjanews.com/

8478

national

প্রকাশিত

১৫ আগস্ট ২০২৫ ১১:০৪

আপডেট

১৫ আগস্ট ২০২৫ ১১:৩৩

জাতীয়

১৫ আগস্ট

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৫০তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ

প্রকাশ: ১৫ আগস্ট ২০২৫ ১১:০৪

ছবি: সংগৃহীত।

আজ ১৫ আগস্ট,  বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকী। ১৯৭৫ সালের এই দিনে একদল  সেনাসদস্য ধানমন্ডির ৩২ নম্বর বাসভবনে বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে নৃশংসভাবে হত্যা করে-যা ইতিহাসের অন্যতম ঘৃণ্যতম হত্যাকাণ্ড।

সে রাতে শহীদ হন বঙ্গবন্ধুর সহধর্মিণী বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব, তিন পুত্র শেখ কামাল, শেখ জামাল ও শিশু শেখ রাসেল, পুত্রবধূ সুলতানা কামাল ও রোজী জামাল, ভাই শেখ আবু নাসের, বঙ্গবন্ধুর জীবন বাঁচাতে ছুটে আসা কর্নেল জামিল, এসবির কর্মকর্তা সিদ্দিকুর রহমান এবং সেনাসদস্য সৈয়দ মাহবুবুল হক।

একই রাতে সেনাসদস্যদের আরেক দল যুবলীগের প্রতিষ্ঠাতা শেখ ফজলুল হক মনির বাসায় হামলা চালিয়ে তাঁকে ও তাঁর অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী আরজু মনিকে হত্যা করে। পাশাপাশি বঙ্গবন্ধুর ভগ্নিপতি আবদুর রব সেরনিয়াবাতের বাসায় হামলা চালিয়ে নতাঁকেসহ, কন্যা বেবি, পুত্র আরিফ সেরনিয়াবাত, নাতি সুকান্ত বাবু, বড় ভাইয়ের ছেলে সজীব সেরনিয়াবাত এবং আত্মীয় আবদুল নঈম খান কে হত্যা করে।

শেখ মুজিবের দুই কন্যা শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা সেদিন বেলজিয়ামের ব্রাসেলসে অবস্থান করায় প্রাণে বেঁচে যান।

২১ বছর পর ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে হত্যাকারীদের বিচার শুরু করে এবং ১৫ আগস্টকে জাতীয় শোক দিবস ও সরকারি ছুটি ঘোষণা করে। ১৯৯৮ সালের ৮ নভেম্বর আদালত ১৫ আসামির মৃত্যুদণ্ড দেন; পরবর্তী সময়ে উচ্চ আদালত ১২ জনের মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখে। এখন পর্যন্ত ছয় জনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হয়েছে, একজন বিদেশে মারা গেছেন এবং পাঁচজন এখনও পলাতক।

২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ আবার ক্ষমতায় এসে ১৫ আগস্ট ও ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলাকে ঘিরে মাসব্যাপী কর্মসূচি পালন করত। ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে এবং গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় তাঁর সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদনসহ নানা আয়োজন হতো।

তবে গত বছরের ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর পরিস্থিতি বদলে যায়। জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে সরকারি ছুটি বাতিল করা হয়। ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানের দিন ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের বঙ্গবন্ধুর বাসভবনে অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুরের পর ছয় মাসের মধ্যে বাড়িটি দ্বিতীয়বার হামলা চালিয়ে ভেঙে ফেলা হয়।

ষাটের দশকের শেষ দিকে বহু অভিজ্ঞ রাজনীতিক থাকা সত্ত্বেও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তাঁর নেতৃত্বগুণে সবার থেকে আলাদা হয়ে ওঠেন। জাতীয়তাবাদী আদর্শের ভিত্তিতে দীর্ঘ সংগ্রামের মধ্য দিয়ে তিনি হয়ে ওঠেন বাংলাদেশের স্বাধীনতার অবিসংবাদিত নেতা। ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ রেসকোর্স ময়দানে তাঁর ঐতিহাসিক ভাষণ মুক্তিযোদ্ধাদের প্রেরণার উৎস হয়ে দাঁড়ায়, যেখানে তিনি ঘোষণা দেন-
‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম।’