https://www.emjanews.com/

9824

national

প্রকাশিত

২১ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ১২:১৪

আপডেট

২২ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ০০:৫২

জাতীয়

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হল ক্যানটিনে খাবারে কাঁকড়া ,মাছি ও পোকা

প্রকাশ: ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ১২:১৪

ছবি: সংগৃহীত।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হলের শিক্ষার্থী মো. সাইদ মুন্সি অভিযোগ করেছেন, গত ১৭ সেপ্টেম্বর রাতে পাশের মাস্টারদা সূর্য সেন হল ক্যানটিনে খাবারের মধ্যে কাঁকড়া পেয়ে বমি চেপে রাখতে পারেননি। তিনি আরও জানান, গত মাসেও একই হলে মাছি ও পোকা পাওয়া গিয়েছিল।

শিক্ষার্থীরা বলছেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের বেশিরভাগ হলের ক্যানটিন ও ক্যাম্পাসের বিভিন্ন দোকানেই খাবারের মান অপ্রতুল ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে রান্না করা হচ্ছে। এতে দীর্ঘমেয়াদে শিক্ষার্থীরা অপুষ্টির শিকার হচ্ছেন এবং অসুস্থও হয়ে পড়ছেন। বিশ্বধর্ম ও সংস্কৃতি বিভাগের শিক্ষার্থী মো. তানভীর হাসান জানিয়েছেন, জহুরুল হক হলে খাবার খেয়ে তিনি দেড় মাস অসুস্থ ছিলেন।

ক্যানটিন ব্যবস্থাপকেরা বলেন, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে মানসম্মত খাবার দেওয়া কঠিন। জহুরুল হক হল ক্যানটিনের ব্যবস্থাপক মঈনুদ্দিন বলেন, খাবারের মান উন্নত করতে চাইলে দাম বাড়াতে হবে। বাজারে প্রতিটি জিনিসের দাম বেড়ে গেছে, স্টাফদের বেতন ও অন্যান্য খরচ সামলানো কঠিন।

ক্যানটিনে দেখা যায়, অস্বাস্থ্যকর ও স্যাঁতসেঁতে পরিবেশে খাবার তৈরি হচ্ছে, খাবারের উপর মাছি বসছে। যারা কাজ করছেন তাদের অনেকের স্বাস্থ্যবিধি সম্পর্কে জ্ঞান নেই। ভাত, মাছ, মুরগি ও সবজির দাম তুলনামূলকভাবে কম হলেও মান খারাপ। পুষ্টি ও খাদ্যবিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক খালেদা ইসলাম বলেন, রান্নার পদ্ধতি ও পর্যাপ্ত মসলা ব্যবহার না হওয়ার কারণে খাবারের মান নিম্নমাধ্যমে যাচ্ছে।

খাবারে কাঁকড়া পাওয়ার পর সাইদ মুন্সি ফেসবুকে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, ছাত্রদের বাজেটের মধ্যে রাখতে গিয়ে প্রতিনিয়ত নিম্নমানের খাবার খেতে হচ্ছে। প্রশাসন চাইলে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে পারত।

ছাত্র সংসদের নবনির্বাচিত সহসভাপতি (ভিপি) আজিজুল হক বলেন, ৪২ বছর ধরে শিক্ষার্থীদের অখাদ্য খাইয়ে শোষণ করা ক্যাফেটেরিয়ার মালিককে অবিলম্বে অপসারণ করতে হবে। খাবারের মান ও পরিচ্ছন্নতা নিয়ে কারও সঙ্গে আপস হবে না।

ছাত্ররা মনে করছেন, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ যদি ভর্তুকি দিতেন, তাহলে ক্যানটিনের খাবারের মান বৃদ্ধি করা সম্ভব হতো। শিক্ষার্থীরা আরও দাবী করেছেন, নিয়মিত তদারকি ও সিসি ক্যামেরা স্থাপনের মাধ্যমে খাবারের পরিবেশ ও মান নিয়ন্ত্রণ করা হোক।