খাগড়াছড়িতে পাহাড়ি কিশোরীকে দল*বদ্ধ ধর্ষ*ণের ঘটনায় অবরোধ অব্যাহত, ১৪৪ ধারা বহাল
প্রকাশ: ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ১১:২৯
ছবি: সংগৃহীত
খাগড়াছড়িতে পাহাড়ি কিশোরীকে দলবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনার প্রতিবাদে ‘জুম্ম ছাত্র-জনতা’-এর ডাকা সড়ক অবরোধ আজ মঙ্গলবারও অব্যাহত রয়েছে। তবে চট্টগ্রাম-খাগড়াছড়ি ও ঢাকা-খাগড়াছড়ি সড়কে আংশিক শিথিলতা দেখা গেলেও দূরপাল্লার বাস চলাচল এখনো বন্ধ। অভ্যন্তরীণ সড়কগুলোতে অল্পসংখ্যক অটোরিকশা ও ইজিবাইক চলাচল করছে।
প্রশাসনের জারি করা ১৪৪ ধারা এখনো বহাল আছে সদর ও গুইমারা উপজেলায়।
উত্তেজনার পটভূমি
গত শনিবার পাহাড়ি ও বাঙালিদের মধ্যে সংঘর্ষের পর রোববার গুইমারার রামেসু বাজারে অবরোধ চলাকালে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে। অবরোধকারীদের সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সংঘর্ষে গুলিতে তিনজন নিহত হন, তাঁরা সবাই পাহাড়ি জনগোষ্ঠীর। আহত হন সেনাবাহিনীর এক মেজরসহ অন্তত ২০ জন।
পরিস্থিতি ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা
আজ মঙ্গলবার সকালে শাপলা চত্বর এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, শহরের মোড়ে মোড়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা অবস্থান নিয়েছেন। অধিকাংশ দোকানপাট বন্ধ, সড়ক প্রায় জনশূন্য। দুই-একটি টমটম চলাচল করলেও কয়েকজন মানুষ একত্র হলে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
পুলিশ সুপার আরেফিন জুয়েল জানান, সেনাবাহিনী, বিজিবি ও পুলিশের টহল জোরদার রয়েছে। গতকাল সোমবার থেকে নতুন কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। জেলা প্রশাসক এ বি এম ইফতেখার উদ্দিন খন্দকার বলেন, ‘অবরোধ প্রত্যাহার না হওয়া পর্যন্ত ১৪৪ ধারা বহাল থাকবে।’
হতাহত ও চিকিৎসা
রোববার গুলিতে নিহত তিনজনের লাশ সোমবার রাতে স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। নিহতরা হলেন, আথুই মারমা (২১), আথ্রাউ মারমা (২২) ও তৈইচিং মারমা (২০)।
খাগড়াছড়ি সিভিল সার্জন ছাবের আহম্মেদ জানান, গুইমারার ঘটনায় আহত ১৪ জনকে সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এর মধ্যে ১৩ জন চিকিৎসাধীন, একজনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।
ধর্ষণ মামলা
গত মঙ্গলবার রাতে প্রাইভেট পড়ে ফেরার পথে ওই কিশোরী দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়। রাত ১১টার দিকে অচেতন অবস্থায় খেত থেকে উদ্ধার করেন স্বজনেরা। এ ঘটনায় শয়ন শীল নামে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আদালত তাঁকে ছয় দিনের রিমান্ডে পাঠিয়েছেন।
