এক বছরে রেমিট্যান্স এসেছে ৩ হাজার ৩২ কোটি মার্কিন ডলার
গত বছরের তুলনায় ২৬.৮ শতাংশ বেশি
প্রকাশ: ০২ জুলাই ২০২৫ ০০:২১

ছবি- সংগ্রহ
২০২৫ সালের সদ্য বিদায়ী জুন মাসে দেশে ২৮২ কোটি (২.৮২ বিলিয়ন) মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স এসেছে, যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় প্রায় ১১ শতাংশ বেশি। বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদনে এই তথ্য উঠে এসেছে। এতে বলা হয়, বিদায়ী অর্থবছর ২০২৪–২৫-এ মোট রেমিট্যান্স প্রবাহ দাঁড়িয়েছে ৩০৩২ কোটি (৩০.৩৩ বিলিয়ন) মার্কিন ডলার, যা আগের বছরের তুলনায় প্রায় ২৬.৮ শতাংশ বেশি।
চলতি অর্থবছরে রেমিট্যান্সের ধারাবাহিক উত্থান বিশেষজ্ঞদের চমকে দিয়েছে। একাধিক উৎস থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, রেমিট্যান্সের এই উত্থানে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রেখেছে প্রবাসীদের মধ্যে আস্থা পুনঃপ্রতিষ্ঠা, এক্সচেঞ্জ রেটে স্থিতিশীলতা, এবং হুন্ডি চ্যানেল রোধে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কঠোর পদক্ষেপ।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, গত মার্চে একক মাসে ৩৩০ কোটি (৩.৩০ বিলিয়ন) ডলারের রেমিট্যান্স এসেছে—যা দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ। এরপর মে মাসে এসেছে ২.৯৭ বিলিয়ন ডলার, আর এপ্রিল মাসে ২৭৫ কোটি ২০ লাখ (২.৭৫ বিলিয়ন) ডলার।
ব্যাংকভিত্তিক পরিসংখ্যান বলছে, সবচেয়ে বেশি রেমিট্যান্স এসেছে ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে—৪৩৬.৮ মিলিয়ন ডলার। এরপর রয়েছে ব্র্যাক ব্যাংক (১৪০.৫ মিলিয়ন), ট্রাস্ট ব্যাংক (১০৯.৯ মিলিয়ন) এবং অগ্রণী, জনতা ও রূপালী ব্যাংক। সরকারি ব্যাংকগুলোর মধ্যে সবচেয়ে এগিয়ে অগ্রণী ব্যাংক (২৫৮.৯ মিলিয়ন)।
বিশ্লেষকরা মনে করেন, রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা এবং প্রবাসীদের আস্থা ফেরত আসা এই সাফল্যের অন্যতম চালিকাশক্তি। বিশেষ করে শেখ হাসিনা সরকারের শাসনামলের শেষ দিকে রেমিট্যান্স প্রবাহ কমে গেলেও ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের পর নতুন অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হলে প্রবাসীরা আবারও নিয়মিতভাবে অর্থ পাঠানো শুরু করেন। ফলে ধীরে ধীরে রেমিট্যান্স প্রবাহ বাড়তে থাকে এবং শেষ পর্যন্ত এটি ৩০ বিলিয়ন ডলারের রেকর্ড অতিক্রম করে।