বড়লেখা উপজেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল হাফিজ সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমান

মৌলভীবাজারের বড়লেখা উপজেলা বিএনপির দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন ও কাউন্সিল শনিবার (১৬ আগস্ট) অনুষ্ঠিত হয়েছে। বড়লেখা পৌর এলাকার পানিধার আব্দুর রহমান কনভেনশন হলে আয়োজিত সম্মেলনে জেলা ও উপজেলা নেতৃবৃন্দের পাশাপাশি দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে বিএনপির সক্রিয় নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

সকালে উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়ন থেকে মিছিল নিয়ে নেতাকর্মীরা সম্মেলনে যোগ দেন। সম্মেলনস্থল ও সড়ক বিভিন্ন স্থানে দলীয় পোস্টার, ব্যানার ও তোরণে সাজানো ছিল। দীর্ঘদিন পর মুক্ত পরিবেশে সম্মেলন অনুষ্ঠিত হওয়ায় উৎসবমুখর পরিবেশ তৈরি হয়। দুপুরে বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য অধ্যাপক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেনসহ অতিথিরা জাতীয় সংগীত পরিবেশন, দলীয় ও জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও পায়রা উড়িয়ে সম্মেলনের উদ্বোধন করেন।

সম্মেলনে কাউন্সিলরদের সরাসরি ভোটের মাধ্যমে সিনিয়র সহসভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও সাংগঠনিক সম্পাদক নির্বাচিত হলেও কোনো পরিবর্তন হয়নি। সভাপতি পদে একক প্রার্থী আব্দুল হাফিজ ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদে জুয়েল আহমদ বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন। ভোট গণনা শেষে সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টায় ফলাফল ঘোষণা করেন বিএনপির সিলেট বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আলহাজ জিকে গউছ।

ফলাফলে সিনিয়র সহসভাপতি পদে নছিব আলী ৪৩১ ভোটে জয়ী হয়েছেন; নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী এস এম শরীফুল ইসলাম বাবলু পেয়েছেন ২৫৬ ভোট। সাধারণ সম্পাদক পদে মুজিবুর রহমান খসরু ৩৫০ ভোটে নির্বাচিত হয়েছেন; আব্দুল কাদির পলাশ পেয়েছেন ৩৩৫ ভোট। সাংগঠনিক সম্পাদক পদে অধ্যাপক আব্দুস সহিদ খান ৫৩৮ ভোটে জয়ী হন; অপর প্রতিদ্বন্দ্বী জালাল আহমদ তালাল পেয়েছেন ১৪৪ ভোট। নির্বাচনে ৭১৫ ভোটারের মধ্যে ৭০০ জন তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন।

সম্মেলনে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য সচিব মো. আব্দুর রহিম রিপন সঞ্চালনা করেন। প্রধান বক্তা ছিলেন বিএনপির সিলেট বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আলহাজ জিকে গউছ। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন সিলেট বিভাগের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মিফতাহ সিদ্দিকী, জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য এম নাসের রহমান, মৌলভীবাজার জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান, জেলা আহ্বায়ক মো. ফয়জুল করিম ময়ূন, কাতার বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শরীফুল হক সাজু প্রমুখ।

দলীয় সূত্রে জানা গেছে, সর্বশেষ ২০২০ সালে বড়লেখা উপজেলা বিএনপির কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হয়েছিল। চলতি বছরের জানুয়ারিতে উপজেলা আহ্বায়ক কমিটি গঠিত হয় এবং ২৮ জুলাই বর্ধিত সভায় ১৬ আগস্ট সম্মেলন ও কাউন্সিলের তারিখ নির্ধারণ করা হয়। সম্মেলনের মাধ্যমে পুরনো নেতৃত্বের ওপরই নেতাকর্মীদের আস্থা বজায় রাখার বিষয়টি স্পষ্ট হয়েছে।