https://www.emjanews.com/

10285

national

প্রকাশিত

০৮ অক্টোবর ২০২৫ ১৬:০০

আপডেট

০৮ অক্টোবর ২০২৫ ১৭:১১

জাতীয়

সিলেটে পুলিশের ওপর হামলার ঘটনা বাড়ছে

প্রকাশ: ০৮ অক্টোবর ২০২৫ ১৬:০০

২০২৪ সালের ৫ আগস্টের পর ভেঙে পড়া পুলিশ ব্যবস্থা অনেকটাই গুছিয়ে ওঠতে শুরু করেছে। সার্বিক আইনশৃঙ্খলা ও আগামী জাতীয় নির্বাচনের জন্য এটি আশাব্যঞ্জক হলেও সাম্প্রতিক সময়ে সিলেটে পুলিশের ওপর ধারাবাহিক হামলার ঘটনা ঘটছে। সিলেটের কোম্পানীগঞ্জে পুলিশ তল্লাশি চৌকিতে হামলার পর এবার হবিগঞ্জের নবীগঞ্জে চুরির মোবাইল উদ্ধার করতে গিয়ে হামলা শিকার হয়েছে পুলিশ।

মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) রাতে নবীগঞ্জ থানার এসআই মেহেদীর নেতৃত্বে একটি দল চোরাই মোবাইল উদ্ধারে অভিযানে যায়। রুদ্রগ্রাম রোডের একটি বাসায় অভিযানের একপর্যায়ে বাসার ভেতরে থাকা মামুন মিয়া ও তার পরিবারের সদস্যরা হঠাৎ পুলিশের ওপর হামলা চালায়। 

তারা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে এবং মামুন মিয়া নবীগঞ্জ থানার কনস্টেবল ইমরান আহমেদকে দা দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর জখম করেছেন বলে দাবি করেছে পুলিশ। আহত ইমরানকে দ্রুত সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। 

হামলায় মোট ছয়জন পুলিশ সদস্য আহত হন। পরে পুলিশের অতিরিক্ত একটি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে এবং মামুন মিয়াসহ তার মা ও বোনকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে।

নবীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বলেন, পুলিশের ওপর হামলাকারীদের কোনো ছাড় দেওয়া হবে না। হামলায় জড়িত সবাইকে আইনের আওতায় আনা হবে।

এর আগে ৫ অক্টোবর দুপুরে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা চত্বর এলাকায় চেকপোস্টে তল্লাশি চলাকালে হামলার শিকার হয় পুলিশ। এতে পুলিশের ৫ সদস্য আহত হন। আহতদের স্থানীয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

দায়িত্বপ্রাপ্ত পুলিশ সদস্যরা বৈধ কাগজপত্র না থাকায় একটি ট্রাক আটক করেন। পরে স্থানীয় ট্রাক ও বাস শ্রমিক ইউনিয়নের সেক্রেটারি মাহফুজসহ দুই বাস শ্রমিক ঘটনাস্থলে এসে পুলিশের সঙ্গে বিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন। তারা চেকপোস্টে কর্তব্যরত পুলিশ সদস্যদের লাঞ্ছিত করে আটক ট্রাকটি ছিনিয়ে নিয়ে যান।

এ সময় ডিউটিরত এসআই আব্দুল হামিদ, কনস্টেবল আজিজুর রহমান, দীপংকর হাজং, শহীদ আহমদ ও মাসেক মিয়া আহত হন।

৪ অক্টোবর সিলেট নগরীর সুরমা গেট এলাকায় শাহপরান (রহ.) থানার ওসি মনির হোসেন, এএসআই আব্দুল খালেকসহ ৫ পুলিশ সদস্য আহত হন। জনরোষ থেকে এক ব্যক্তিকে বাঁচাতে গেলে পুলিশ হামলার শিকার হয়।