
লালনসংগীতের বরেণ্য শিল্পী ফরিদা পারভীন শারীরিক অসুস্থতায় আবারও ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
গত তিন মাসে এ নিয়ে তিনবার তাঁকে আইসিইউতে রাখতে হয়েছে।
বর্তমানে তিনি ফুসফুস ও কিডনি সমস্যায় ভুগছেন এবং শারীরিকভাবে ভীষণ দুর্বল অবস্থায় রয়েছেন।
শ্বাসকষ্টের কারণে তিন দিন আগে তাঁকে হাসপাতালে নেওয়া হয়। শুরুতে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) রেখে চিকিৎসাসেবা দেওয়া হয়। অবস্থার কিছুটা উন্নতি হওয়ায় গতকাল রোববার তাঁকে কেবিনে স্থানান্তর করা হয়েছে।
সোমবার সকালে ফরিদা পারভীনের স্বামী, যন্ত্রসংগীতশিল্পী গাজী আবদুল হাকিম গণমাধ্যমকে বলেন, 'সার্বিকভাবে তার অবস্থা খুব একটা ভালো না। শরীরে প্রচণ্ড দুর্বলতা। এখনো নিজে উঠে দাঁড়াতে বা হাঁটতে পারে না। সবাই তার জন্য দোয়া করবেন।'
১৯৬৮ সালে রাজশাহী বেতারে নজরুলসংগীত গেয়ে সংগীতজীবন শুরু করেন ফরিদা পারভীন। ১৯৭৩ সালে দেশাত্মবোধক গান গেয়ে পরিচিতি পান। পরে সাধক মোকসেদ আলী শাহর কাছে তালিম নিয়ে লালনসংগীতে নিজের অবস্থান পোক্ত করেন।
সংগীতাঙ্গনে বিশেষ অবদানের জন্য তিনি ১৯৮৭ সালে একুশে পদকে ভূষিত হন।
২০০৮ সালে পেয়েছেন জাপান সরকারের ‘ফুকুওয়াকা এশিয়ান কালচার’ পুরস্কার।
জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে ১৯৯৩ সালে সেরা প্লেব্যাক গায়িকা হিসেবেও সম্মানিত হয়েছেন তিনি।
শুধু গানের জগতে নয়, শিশুদের লালনসংগীত শিক্ষায় আগ্রহী করে তুলতে তিনি গড়ে তুলেছেন ‘অচিন পাখি স্কুল’ নামের একটি সংগীত প্রতিষ্ঠান।
গণমানুষের ভালোবাসা ও শ্রদ্ধা পাওয়া এই শিল্পীর দ্রুত সুস্থতার জন্য সংগীতপ্রেমী ও শুভাকাঙ্ক্ষীদের দোয়া কামনা করেছেন তার পরিবার।